শেষ মুহূর্তে জমজমাট দেশের ৩৬০০ পশুর হাট

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম

হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের উপস্থিতি ভালো। ছবি: সংগৃহীত
রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে সামনে রেখে দেশের ছোট-বড় প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোরবানির পশুর হাটে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের বেচাকেনা। রাজধানী থেকে গ্রাম পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠেছে হাটগুলো। এবারের কোরবানিকে কেন্দ্র করে ১ লাখ কোটি টাকার পশু বাণিজ্যের আশা করছে খামারিরা এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
ঢাকার গাবতলী ও তেজগাঁওয়ের মতো বড় হাটগুলোতে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বেচাবিক্রি পুরোদমে চলছে। শুক্রবার (৬ জুন) জুমার নামাজের আগ পর্যন্ত বেচাকেনা অব্যাহত ছিল। হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ব্যাপারী ও খামারিরা কেউ ব্যস্ত গরুর যত্নে, কেউ আবার দামাদামিতে। ক্রেতারাও হাটে ভালো সংখ্যায় এসেছেন।
তেজগাঁও হাটের এক ব্যবসায়ী জানান, ৩০ তারিখ থেকে তেজগাঁও হাট করছি। ছোট গরুগুলো বিক্রি হয়ে গেছে, দামও ভালো পেয়েছি। এখনো ২টা বড় গরু আছে, আশা করছি রাতের মধ্যেই বিক্রি হবে।
হাট ইজারাদার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির জানান, হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের উপস্থিতি ভালো। বেচাকেনাও ভালো চলছে।
রাজশাহী সিটি হাট ও দামকুড়া হাটেও শেষ মুহূর্তের হাঁকডাকে জমে উঠেছে পশুর হাট। পশু ব্যাপারী আইনাল হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন তেমন বেচাবিক্রি হয়নি। তবে এখন কিছু হচ্ছে। ছোট গরুর চাহিদা বেশি, কিন্তু বড় গরুর দাম কিছুটা কম।
আরো পড়ুন : রাস্তা জুড়ে অরাজকতা, জিম্মি যাত্রীরা
ব্যবসায়ীরা জানান, মধ্যরাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে এবং শেষ মুহূর্তে প্রায় সব গরুই বিক্রি হয়ে যাবে। আশা করা হচ্ছে, কেউই খালি হাতে হাট থেকে ফিরবেন না।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবারের কোরবানিকে সামনে রেখে ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে। কোরবানির জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ৭৯ হাজার পশু। এর বাইরে প্রায় ২০ লাখ পশু উদ্বৃত্ত থাকবে, যা আগামী বছর কোরবানির বাজারে আসবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ড. এবিএম খালেদুজ্জামান জানান, কোরবানির ছয় মাস আগে থেকেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে ৮২ হাজার খামারিকে প্রশিক্ষণ, ১৫ হাজার ৩৭৫ নিয়মিত কসাই এবং ২১ হাজার মৌসুমি কসাইকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি হাটে ভেটেরিনারি টিম কাজ করছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সবার সহযোগিতায় একটি সুন্দর, সুসংগঠিত এবং স্বাস্থ্যসম্মত কোরবানির উৎসব আয়োজন সম্ভব হবে।