খেলাপি কমিয়ে আনতে কিছুটা সময় লাগবে: অগ্রণী ব্যাংক চেয়ারম্যান

মরিয়ম সেঁজুতি
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:২২ পিএম

অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ। ছবি: ভোরের কাগজ
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে ভালো অবস্থানে ছিল অগ্রণী ব্যাংক। কিন্তু খেলাপি ঋণে জর্জরিত, সুশাসনের অভাবসহ নানা অনিয়মে জর্জরিত হয়ে পড়ে ব্যাংকটি। গত বছর ছাত্রজনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হয়ে এসেছেন সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ। ব্যাংকিং খাতের অভিজ্ঞ এ কর্মকর্তা এক সময় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন।
এছাড়া তিনি সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সবশেষ ঢাকা ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক ছিলেন। এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্থনীতির নানা শাখায় কাজ করেছেন বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী এ অর্থনীতিবিদ। সম্প্রতি ভোরের কাগজের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন অগ্রণী ব্যাংক নিয়ে নানা পরিকল্পনা, পাশাপাশি দেশের ব্যাংকিং খাত, মূল্যস্ফীতি, ডলার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেছেন সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ। বিস্তারিত জানাচ্ছেন মরিয়ম সেঁজুতি-
ভোরের কাগজ: একটি সরকারি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। ব্যাংকিং খাতের সার্বিক চিত্র আপনার দৃষ্টিতে কেমন অবস্থানে আছে। দেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে সরকার কিভাবে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আপনি মনে করে?
সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ: দেশের আর্থিক খাত গত ১৫ বছরে যে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল পতিত আওয়ামীলীগ সরকার তা অকল্পনীয়। এর প্রভাবে ৫০ শতাংশ ব্যাংকের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। বর্তমানে ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি। এর মধ্যে প্রায় ৩০ টি ব্যাংক ভালো নেই। লুটপাটের কারণে কয়েকটি ব্যাংকের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছে যে ব্যাংকগুলো কর্মীদের বেতন- ভাতা পর্যন্ত দিতে পারছে না। এমনকি আমানতকারীদের টাকাও ফেরত দিতে পারছে না। পরিবর্তীত সময়ে প্রকৃত চিত্র বের হওয়ায় বিভিন্ন ব্যাংকের খেলাপি ঋণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আরো বাড়বে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক হলো সেই ব্যাংকগুলো যা সরকারের মালিকানাধীন এবং পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) সহ মোট ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে। এই ব্যাংকগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য হল সরকারের বিভিন্ন নীতি এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা, যা সাধারণত বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ভিন্ন হয়ে থাকে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংককে ‘রাষ্ট্রায়ত্ত প্রধান চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংক’। এই ব্যাংকগুলোতে এখন খেলাপি ঋণ কমানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
এরই মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকে ঋণের অর্ধেক খেলাপি ঋণে পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত জনতা ব্যাংকের ৭২ শতাংশ, বেসিক ব্যাংকের ৬৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ, বিডিবিএল এর ৪৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ, অগ্রণী ব্যাংকের ৩৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, রূপালী ব্যাংকের ৩১ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমান ১৮ দশমিক ৬১ শতাংশ। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর অবস্থাও একই রকম। নিরপেক্ষ তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে এসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণের আসল চিত্র। খেলাপিসহ নানা সংকটে বড় অংকের মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে ব্যাংকগুলো। যা প্রায় পৌঁণে ২ লাখ কোটি টাকা ছুঁইছুঁই। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক ব্যাংক খাত সংস্কারে কাজ চলছে।
ভোরের কাগজ: অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিস্থিতি কেমন? খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে কী ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছেন?
সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ: অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি গত সেপ্টেম্বরে ৪০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। বর্তমানে তা কিছুটা কমে এসেছে। এরই মধ্যে ২০০ কোটি টাকা নগদ আদায় করেছি। খেলাপি আদায়ে পরিকল্পনা তো অবশ্যই রয়েছে। তবে চাইলে খেলাপি ঋণ মুহুর্তে আদায় করা যায় না। খেলাপি ঋণ আদায় করারও একটা প্রক্রিয়া রয়েছে। সেই প্রক্রিয়ায় আগাতে গেলেও দুই থেকে তিন বছর লাগবে। খেলাপি ঋণ আদায় করতে গেলে আইনের প্রক্রিয়াটাই অনেক জটিল। সেই জটিললতা শেষ করতে তো সময় চলে যায়। তাই সরকারের উচিত খেলাপিদের জন্য বিশেষ আদালত করে, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। তাহলে কেউ সহজে আর খেলাপি হতে চাইবে না।
এখন বছরের পর বছর ব্যাংকের টাকা না দিয়ে ঋণখেলাপিরা ঘুরে বেড়াতে পারে। সরকারের উচিত খেলাপিদের ব্যাপারে কঠোর হওয়া। যাতে অল্প সময়ের মধ্যে খেলাপিদের সম্পদ বিক্রি করে ব্যাংকের টাকা সমন্বয় করতে পারা যায়। তবে সম্পদ বিক্রি করতেও রয়েছে নানা জটিলতা। এসব সম্পদ সঠিক দামে বিক্রি করতে গেলেও রয়েছে সিন্ডিকেট। সেই সিন্ডিকেট আগে থেকে বসে থাকে কিভাবে সম্পদের দাম কম দিবে। তার জন্য আদালত থেকে নিয়ে আসবে রায়ও। তাই সবখানে রয়েছে সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেট ভাঙতে সময়ের প্রয়োজন।
ভোরের কাগজ: খেলাপি ঋণের পাশাপাশি ব্যাংকখাত এক ধরনের অস্থির পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?
সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ: ব্যাংকের অস্থিরতা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি খুব দ্রুত অস্থিরতা কাটিয়ে উঠতে। বিগত ১৬ বছরে আর্থিক খাতে নজিরবিহীন অপশাসনের মাধ্যমে এই খাতকে বিপর্যস্ত করে তোলা হয়েছে। ব্যাপক ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে এবং সেগুলো বারবার পুনঃতফসিল করে প্রকৃত অবস্থা আড়াল করা হয়েছে। তাই তখন খেলাপি ঋণ কম দেখানো হতো। এখন সেগুলো যাছাই-বাচাই করতে গিয়ে ঋণের আসল চেহারা বের হয়ে আসছে। ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। তবে গত দশ মাসে নতুন করে কোনো খেলাপি বাড়েনি।
দেশের অর্থনীতিকে যে তলানিতে নেয়া হয়েছিল তার গতি কিছুটা হলেও রোধ করা সম্ভব হয়েছে। একজন গ্রাহকের আড়াই হাজার কোটি টাকা প্রায় আড়াই বছর কার্পেটের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। কখনো খেলাপি করা হয়নি। এখন এসব বের করা হচ্ছে। সুতরাং অর্থনীতি এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি সঠিক পদ্ধতিতে চলছে। আগে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা কিছুই ছিল না, এখন সেটা অনেকাংশে ফিরে এসেছে।
প্রশ্ন: অগ্রণী ব্যাংকের আগামীর পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাই ?
সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ: আমানত, ঋণ, আমদানি, রপ্তানি, রেমিট্যান্সে অগ্রণীর অবস্থান টপ লেভেলে (শীর্ষ পর্যায়ে) আছে। আমদানি ও রপ্তানিতে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম অবস্থানে আছে অগ্রণী ব্যাংক। সার্বিকভাবে রেমিট্যান্সে সবসময়ই আমাদের অবস্থান দ্বিতীয়, অর্থাৎ ইসলামি ব্যাংকের পরেই থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকও এটা দেখে অবাক হয়েছে। সরকারি ব্যাংক হিসেবে ডলার রেট বাংলাদেশ ব্যাংক যেটা বেঁধে দেয় তার বাইরে দেয়ার সুযোগ নেই। খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। ৫০ শতাংশের কাছাকাছি খেলাপি ঋণ চলে আসছে। ফলে মূলধন ঘাটতি দেখা গেছে।
কিন্তু খেলাপি ঋণ কমানোর জন্য এরই মধ্যে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। ডিজিটাল সার্ভিসের ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে নেই। বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংকের ৯৭৫টি শাখায় অনলাইন সার্ভিস চালু আছে। অগ্রণী ব্যাংকে হলমার্ক, বিসমিল্লাহ, অ্যাননটেক্সের মতো বড় কোনো জালিয়াতির ঘটনা নেই। এ ধারাবাহিকতা আমরা ধরে রাখতে চাই। কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই), কৃষি খাতে ঋণ রয়েছে। এ খাতে আরো ঋণ বাড়ানো হবে। কারণ এ খাতে খেলাপি হওয়ার সম্ভবনা খুবই কম। এদেশে উন্নয়নে ২৫ শতাংশ অবদান এ খাতেই বেশি। অথচ এখাতে মানুষ ঋণ পাই না। তাই যারা ভালো ব্যবসা করতে চাইবে, তাদেরকে আমরা ঋণ দিবে। নতুন করে কোনো কর্পোরেটে খাতে ঋণ দিচ্ছি না। তবে যেগুলো চলমান আছে, সেগুলো ব্যবসার পরিধি অনুযায়ি ঋণ দেয়া হচ্ছে। যাতে প্রতিষ্ঠানগুলো সচল রাখতে পারে।
ভোরের কাগজ: এক সময় অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ছিলেন। এখন আবার চেয়ারম্যান হয়েছেন। ব্যাংকটির কোন তফাৎ দেখছেন কী?
সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ: আমি যখন ২০০৪ সালে এমডি হিসেবে আসি তখন ব্যাংকের ইক্যুইটি প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ঋণাত্মক ছিল। খেলাপি ঋণ ছিল আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। আর নিট মুনাফা দুই হাজার ১০০ কোটি টাকা ঋণাত্মক ছিল। তবে ২০১০ সালে বিদায় নেয়ার আগে ইক্যুইটি এক হাজার ৭২ কোটি টাকা ইতিবাচক ছিল। খেলাপি ঋণ কমিয়ে দুই হাজার ১০০ কোটি টাকায় নেমে আসে। আর ৩৫২ কোটি টাকা মুনাফা ছিল। কিন্তু এখন আবার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে দেখি মূলধন ঘাটতি ও খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। গত ১৫ বছর ঋণ ঠিকভাবে বিতরণ না করার কারণে এ পরিস্থিতি হয়েছে। তবে এ সংকট কাটিয়ে উঠবো।
ভোরের কাগজ: তারল্য সংকট থেকে বের হওয়ার উপায় কী?
সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ : ব্যাংকখাতে বর্তমানে তারল্যসংকট একটি বড় সমস্যা। সবাই ব্যাংকে যায় টাকা উঠানোর জন্য অর্থাৎ ডিপোজিটের চেয়ে উত্তোলন বেশি। তার মানে এই নয় যে, তারল্য সংকটে ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাবে। তবে আশা করছি, জুনের মধ্যে এই সংকট কেটে যাবে। বাহির থেকে ফরেন কারেন্ট ইনভেস্টমেন্ট আসার কথা ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফ, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, আইডিবি ফান্ড আসলে আমরা ঘুরে দাঁড়াবো।
ভোরের কাগজ: রেমিটেন্স আহরণে অগ্রণী ব্যাংক কেমন কাজ করছে? রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় নিয়ে কিছু বলুন।
সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ: গত ডিসেম্বরে প্রবাসী আয় আনার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল রাষ্ট্রমালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক। টপ টেন রেমিট্যান্স আহরণে দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করে। ওই মাসে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৬ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। আমরা চেষ্টা করছি সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণের। তবে ইসলামিক ব্যাংককে বিট করা বড় চ্যালেঞ্জ। আমি মনে করি, হুন্ডি ও পাচার বন্ধ হওয়ায় রেমিট্যান্সে জোয়ার বইছে। এখন প্রতি মাসে গড়ে ২০০-২৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসছে। এটা ইতিবাচক। সে কারণে ঘুরে দাঁড়িয়েছে রিজার্ভ। এছাড়া রপ্তানির জন্য নতুন নতুন বাজার তৈরি করতে হবে। পণ্যের মানে ভিন্নতা ও নতুনত্ব আনতে হবে।
ভোরের কাগজ: পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সম্ভব কি? যদি ফেরত আনা যায় কীভাবে সম্ভব?
সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ : অবৈধভাবে যে টাকা পাচার হয়েছে তা ফেরত আনা সম্ভব। তবে তার আগে প্রমাণ করতে হবে টাকা অবৈধভাবে পাচার হয়েছে। লিগ্যাল ওয়েতে গেলে সে টাকা আনা সম্ভব নয়, যেমন একজন মানুষ পাসপোর্টের সাথে এন্ডোস করে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার সাথে নিয়ে বিদেশ যেতে পারে। এটা লিগ্যাল ওয়ে। তার বেশি নিতে গেলে স্পেশাল পারমিশন দরকার। আর সে পারমিশন না থকলে টাকা নেয়া যাবে না। অবৈধ টাকা অবৈধ ওয়েতে যে দেশে পাচার হয়েছে, সে দেশের সাথে চুক্তি করে ফেরত আনা সম্ভব। তবে তার আগে প্রমাণ করতে হবে অবৈধ টাকা অবৈধ ওয়েতে পাচার হয়েছে। এসআলম, সামিট, বেক্সিমকো হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে, আসলে এই টাকা ফেরত আসা উচিত।