রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারি, নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি এবং ছাত্রলীগের প্রতি পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবি করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) তারিকুল হাসানের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন শিক্ষার্থীরা। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, বিভাগের সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন অধ্যাপক মুশতাক আহমেদ ৯ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও, তিনি কোটা বিরোধী আন্দোলনে সরকারের পক্ষে উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে গণহত্যাকে সমর্থন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, অধ্যাপক মুশতাক নিয়মিত ক্লাস না নিয়ে খাতা মূল্যায়নে পক্ষপাতিত্ব করেন। নারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মেসেজ পাঠানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এছাড়াও, ছাত্রলীগের এক নেতাকে ভুয়া সনদপত্রের মাধ্যমে সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি করিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

আরো পড়ুন: কাকে মাস্টারমাইান্ড বললেন আজহারী?

রেজিস্ট্রার তারিকুল হাসান অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে অধ্যাপক মুশতাক আহমেদ ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি কোটাবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কষ্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভুল বোঝাবুঝি সমাধানের আহ্বান জানান।