প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু, বন্ধ পাঠদান
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪৬ পিএম
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতি চলবে আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) পর্যন্ত। ছবি : সংগৃহীত
তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশজুড়ে তিন দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। এতে করে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পরও সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতি চলবে আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) পর্যন্ত।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেরা বেগম বলেন, সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেড প্রদান, শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি এবং ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডপ্রাপ্তির জটিলতা নিরসন—এই তিন দফা দাবির বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চললেও আশ্বাস ছাড়া কোনো বাস্তব অগ্রগতি হয়নি। বাধ্য হয়ে তারা পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন।
আরো পড়ুন : প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি, ৬৫ হাজার স্কুলে ক্লাস বন্ধ
তিনি আরো জানান, টানা তিন দিন কর্মবিরতি চলবে এবং দাবি আদায়ে অগ্রগতি না হলে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন ও ১১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশন শুরু করার ঘোষণা রয়েছে।
রাতে প্রকাশিত আরেক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক শাহীনূর আকতার বলেন, সহকারী শিক্ষকরা বহুদিন ধরে আন্দোলন করছেন, কিন্তু সরকারের আশ্বাস বাস্তবে পরিণত হয়নি। তিনি বলেন, গত ১ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে আমরা ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ না থাকায় কর্মসূচি আরো জোরদার করা ছাড়া আমাদের সামনে বিকল্প নেই।
সংগঠনের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, দাবি পূরণ না হলে কর্মবিরতির পর বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন এবং ১১ ডিসেম্বর থেকে অনশন কর্মসূচি পালন করবেন সহকারী শিক্ষকরা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক ৩ লাখ ৮৪ হাজার। গত ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০তম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। তবে এতে সহকারী শিক্ষকরা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
তাদের অভিযোগ, অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, নার্স, কৃষি কর্মকর্তা, পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা স্নাতক ডিগ্রি নিয়েই ১০ম গ্রেড পাচ্ছেন। অথচ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা স্নাতকের পাশাপাশি সিএনএড, বিপিএড বা বিটিপিটি কোর্স সম্পন্ন করেও এখনো ১৩তম গ্রেডে রয়েছেন।
