বাংলাদেশের হয়ে খেলার কারণ জানালেন হামজা চৌধুরী
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম
হামজা চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত
নভেম্বর উইন্ডোতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে ঢাকায় পৌঁছেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরী। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে তিনি দেশের অন্যতম বৃহৎ মোবাইল অপারেটর রবির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে নিজের অনুভূতি ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
হামজা বলেন, অর্থ নয়, দেশের প্রতি ভালোবাসাই তাঁর প্রধান অনুপ্রেরণা। তিনি জানান, আমি টাকার কথা আলাদাভাবে চিন্তা করি না। দেশের প্রতি ভালোবাসা ও কীভাবে দেশের পরিস্থিতি উন্নত করতে পারি, সেটাই মূল বিষয়। সেই উন্নতিতে নিজের সামর্থ্যমতো অবদান রাখাই বাংলাদেশের হয়ে খেলার অন্যতম কারণ।
বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে বলেও জানান তিনি। তরুণ প্রজন্মকে ফুটবলে অনুপ্রাণিত করতে চান এই ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তারকা।
আরো পড়ুন : যেকারণে ফের অধিনায়কের দায়িত্ব নিলেন শান্ত
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই মিডফিল্ডার বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নামার পর পেয়েছেন সমর্থকদের অপরিসীম ভালোবাসা। এতে তিনি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, আমি শুধু চাই এই দেশের অংশ হতে পেরে গর্ব করতে এবং যেকোনোভাবে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে, বিশেষ করে আমার বাবা-মায়ের জন্য। প্রতিটি সন্তানই চায় তার বাবা-মাকে গর্বিত করতে, আর আমি মনে করি আমি ভাগ্যবান যে আমি পুরো জাতিকেই গর্বিত করতে পারি।
হামজা জানান, বাংলাদেশে আসার পর এখানকার ভালোবাসা ও আতিথেয়তা তাঁকে মুগ্ধ করেছে। যখনই আমি বাংলাদেশ ছাড়ি, আমার বাচ্চারা বলে তারা বাংলাদেশে ফিরতে চায়। তাই ইনশাআল্লাহ, তারা মার্চে আবার ফিরে আসবে।
বাংলাদেশ দলের অন্যতম ভরসা এখন হামজা ও সামিত। হামজা বিশ্বাস করেন, ভবিষ্যতে দেশীয় ফুটবলাররাও বড় মঞ্চে নিজেদের তুলে ধরতে পারবেন। শুধু দেশের বাইরে থেকে নয়, দেশ থেকেও আমরা অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে আসতে দেখব। ইনশাআল্লাহ হয়তো একদিন তারা ইউরোপেও খেলবে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে দেশের ফুটবল আরও এগিয়ে যাবে, আশাবাদী কণ্ঠে বলেন তিনি।
আগামী ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে এবং ১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই জয়ের লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন হামজা। তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ, আমার সামনে দুটো ম্যাচ আছে। তাই আমি এখন সম্পূর্ণভাবে সেই ম্যাচগুলোর দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি। শতভাগ মনোযোগ দিয়ে যেন খেলতে পারি এবং নিজের সেরাটা দিতে পারি, যা আমাদের জিততে সহায়তা করবে — বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে।
