দিল্লি থেকে বাংলাদেশি হাইকমিশনারকে জরুরি তলব ঢাকায়
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৬ এএম
রিয়াজ হামিদুল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত
নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় ডেকে এনেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ডাক পাওয়ার পর সোমবার রাতে তিনি ঢাকায় পৌঁছান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র হাইকমিশনারের ঢাকা ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেওয়ার জন্যই তাকে জরুরি তলব করা হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, ভারতের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক পর্যালোচনায় সোমবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের মধ্যে এক দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুব শিগগিরই তারা দিল্লি থেকে ফেরা হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে নিয়ে বৈঠকে বসতে পারেন।
সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি এবং ময়মনসিংহে পোশাক কারখানার শ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসের নির্মম হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেও।
এরই মধ্যে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের বিভিন্ন মিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় ঢাকা। একই সঙ্গে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্রে হিন্দুত্ববাদী তিনটি সংগঠন হামলা চালায়। পরবর্তীতে ওই ভিসা কেন্দ্রটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনাও ঘটে।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও দিল্লিতে দুই দেশের হাইকমিশনারদের পাল্টাপাল্টি তলবের ঘটনা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। গত দুই সপ্তাহে উভয় দেশ একাধিকবার পরস্পরের কূটনীতিকদের তলব করে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবাদ ও উদ্বেগ জানায়।
সবশেষ গত ২৩ ডিসেম্বর সকালে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরই দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে। একই দিনে দুই দেশের দূতদের পাল্টাপাল্টি তলবের ঘটনা বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
