×

স্বাস্থ্য

ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে

দেড় মাসে ৪৪ জনের মৃত্যু

Icon

সেবিকা দেবনাথ

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

দেড় মাসে ৪৪ জনের মৃত্যু

ছবি : ভোরের কাগজ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বিরাজ করছে হালকা শীত। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরের বাকি কয়েকদিন দেশের বেশির ভাগ এলাকায় হালকা শীত থাকবে। নতুন বছরের শুরুতে দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। জানুয়ারিজুড়ে বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব থাকতে পারে।

শীতের তীব্রতা বাড়ায় দেশের বিভিন্ন জেলায় ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, শীতে ‘কমন কোল্ড’ বা সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। বিশেষ করে নাক বন্ধ হওয়া, নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরা, হালকা জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরব্যথা ও ম্যাজ ম্যাজ করা, দুর্বল লাগতে পারে। এছাড়া ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, টনসিলাইটিস, ব্রংকিওলাইটিস, সাইনোসাইটিস, অ্যাজমা, চর্ম, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও দেখা দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ নভেম্বর থেকে গতকাল ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত (এআরআই/ শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ) সর্দি-কাশি, গলাব্যথা ব্রংকাইটিস, ব্রংকিওলাইটিস ও নিউমোনিয়ায় ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৩৬ হাজার ৭২২ জন। সারাদেশে ডায়রিয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে ৯৪ হাজার ৩৬১ জন।

শীত এলেই কেন এসব রোগ বাড়ে- এ প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেন। তারা বলছেন, কিছু ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া এই ঋতুতে সক্রিয় থাকে। তারা সহজেই মানুষের শরীরে ঢুকতে পারে। এই সময় তারা সহজে বাতাসে ভেসে বেড়ায়। শীতে কুয়াশা, ধুলাবালির মধ্যে ব্যাকটেরিয়া ঘুরে বেড়ায়। কুয়াশার কারণে ব্যাকটেরিয়া ওপরে উঠতে পারে না, নিচে ঘুরে বেড়ায়। শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার সময় ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস খুব সহজে শরীরে ঢুকে যায়। যাদের একটু অ্যালার্জির প্রবণতা রয়েছে, চট করে একটু ঠাণ্ডা লাগলেই সর্দি লেগে যায়। কারো কারো ধুলাবালিতে হাঁচি-সর্দি হয়। তাই শীতে এসবের প্রকোপ একটু বেশি।

প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ ভোরের কাগজকে বলেন, শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা আমরা পেয়ে থাকি, সেটি হলো সর্দি-কাশি। এগুলো নিয়ে মানুষ সবচেয়ে বেশি আসে। এই সময়ে হালকা জ্বর এবং সর্দি-কাশি বেশি হয়। এছাড়া কিছু সংক্রমণ হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হলো নিউমোনিয়া। শিশু ও বয়স্কদের এটি বেশি হয়। এটি একটি সংক্রমাক ব্যাধি। একজনের থেকে অন্যজনের মধ্যে ছড়ায়।

যেহেতু শিশু এবং বয়স্ক মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, তাই শীতে এ রোগ খুব বেশি হতে দেখা যায়। এছাড়া হাঁপানি, ব্রংকিয়াল অ্যাজমা বা যাদের বহুদিনের শ্বাসকষ্টজনিত রোগ রয়েছে, তাদের রোগের তীব্রতা বেড়ে যায়। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম তারা সহজেই আক্রান্ত হন। এখনো শীত পুরোপুরি পড়েনি; তাই সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সতর্ক থাকতে হবে।

চিকিৎসকরা বলছেন, চলতি বছরে তীব্র শীতের কারণে দুই থেকে তিন গুণ বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ। বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা বেশির ভাগই শিশু। শিশুরা শ্বাসতন্ত্রের নানা ধরনের সংক্রমণ ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত

হচ্ছে। তাদের অ্যাজমাও বেড়ে গেছে। ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটেও প্রতিদিন সেবা নিতে আসা জ্বর, ঠাণ্ডা ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

টাইমলাইন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

অসাংবিধানিক আবদার মেনে জাতিকে সংকটে ফেলা যাবে না: সালাউদ্দিন আহমেদ

অসাংবিধানিক আবদার মেনে জাতিকে সংকটে ফেলা যাবে না: সালাউদ্দিন আহমেদ

পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে সেন্টমার্টিন

পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে সেন্টমার্টিন

যুবশক্তিকে অন্তর্ভুক্ত না করে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়

জাতিসংঘ ইউএনজিএ’র সাইডলাইন বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা যুবশক্তিকে অন্তর্ভুক্ত না করে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়

ফাইনালে উঠতে ১৩৬ রান করতে হবে বাংলাদেশকে

এশিয়া কাপ ফাইনালে উঠতে ১৩৬ রান করতে হবে বাংলাদেশকে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App