গ্রিস উপকূলে উদ্ধার অভিবাসীদের মধ্যে ৪৩৭ জনই বাংলাদেশি
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
গ্রিসের গাভদোস উপকূলের কাছাকাছি একটি মাছ ধরার নৌকা থেকে উদ্ধার হওয়া ৫৩৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মধ্যে ৪৩৭ জনই বাংলাদেশি। দেশটির কোস্টগার্ড (লিমেনার্কিও) কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে আগিয়া গ্যালিনির দক্ষিণের সমুদ্র এলাকা থেকে অভিবাসীদের উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তাদের রেথিম্নো শহরের কিত্রেনোসি ভবনে রাখা হয়েছে। সেখানে হেলেনিক কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে অভিবাসীদের নিবন্ধন ও পরিচয় শনাক্তকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে চারজন নারী ও দুটি শিশু রয়েছে, তবে অধিকাংশই পুরুষ। রেথিম্নোর কোস্টগার্ড প্রধান কিরিয়াকোস পাত্তাকোস জানান, নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এখন মানবপাচারকারী চক্রকে শনাক্ত করা এবং অভিবাসীদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়াই তাদের প্রধান লক্ষ্য।
এদিকে রেথিম্নো পৌরসভার উপমেয়র (নাগরিক সুরক্ষা) ইয়োরগোস স্কোরদিলিস বলেন, এত বিপুল সংখ্যক অভিবাসী সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত অবকাঠামো শহরটিতে নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের ঘাটতির কারণে স্থানীয় প্রশাসনকে চাপে পড়তে হচ্ছে। তিনি জানান, আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে সোমবার (আজ) ৩০০ জন অভিবাসীকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হবে এবং অবশিষ্টদের আগামী সপ্তাহে সরিয়ে নেওয়া হবে।
উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের জাতীয়তা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৪৩৭ জন বাংলাদেশির পাশাপাশি ৪৬ জন পাকিস্তানি, ৩৪ জন মিসরীয়, ১২ জন ইরিত্রীয় (এর মধ্যে চার নারী ও দুটি শিশু), পাঁচজন সোমালি এবং সুদান, ইয়েমেন ও ফিলিস্তিনের নাগরিক রয়েছেন। কর্তৃপক্ষের ধারণা, মানবপাচারকারীদের সহায়তায় লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল থেকে অন্তত ৩৬ ঘণ্টার ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রযাত্রা পাড়ি দিয়ে তারা গ্রিসে পৌঁছান।
এ বিষয়ে গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনায় বাংলাদেশ দূতাবাসকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
