কাকরাইলে জাতীয় পার্টির সমাবেশে পুলিশের বাধা, কর্মসূচি পণ্ড

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম

পুলিশি বাধায় জাতীয় পার্টির নেতা–কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তখন রাস্তায় পড়ে থাকে দলীয় ফেস্টুন ও চেয়ার। ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের বাধায় দলটির ঘোষিত সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেল পৌনে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দলটির দাবি, পুলিশের হামলায় তাদের কয়েকজন নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে পুলিশ বলছে, মৌখিকভাবে জাতীয় পার্টিকে রাস্তা দখল না করে কর্মসূচি পালন করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা নির্দেশ অমান্য করে রাস্তার ওপর চেয়ার বসিয়ে মঞ্চ স্থাপন করে। বারবার সতর্ক করার পরও না সরে দাঁড়ালে সমাবেশ ছত্রভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, জাতীয় পার্টির নেতা–কর্মীরা কার্যালয়ের সামনে জড়ো হলে পুলিশ জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাঁদের সরিয়ে দেয়। এ সময় চারপাশে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দেখা যায়, জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের ফটক বন্ধ, সামনে পুলিশ অবস্থান করছে, আর ডেকোরেশনের কর্মীরা চেয়ার–টেবিল সরিয়ে নিচ্ছেন।
জাপার মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সমাবেশ ছিল সংক্ষিপ্ত ও শান্তিপূর্ণ। সম্পূর্ণ অযাচিতভাবে পুলিশ তা ভন্ডুল করেছে। মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে তারা হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের অনেক নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ সংযত আচরণ করলে এই পরিস্থিতি হতো না।
তিনি বলেন, পুলিশ পেছন থেকে আক্রমণ করেছে, পানি ছুড়েছে। এতে পদদলিত হয়ে মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। এটা দায়িত্বহীন আচরণ।
অন্যদিকে পুলিশের রমনা জোনের উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম জানান, জাতীয় পার্টি রাস্তায় সমাবেশ করার আবেদন করেছিল, কিন্তু আমরা তা অনুমোদন দিইনি। রাস্তা দখল করে তারা চেয়ার বসিয়ে মঞ্চ তৈরি করেছিল। বারবার অনুরোধের পরও তারা সরে না গেলে আমরা আইনানুগভাবে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করি।
রমনা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আশিকুর রহমান বলেন, জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে অনুমতি ছাড়াই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। তাই পুলিশ সেখানে কর্মসূচি করতে দেয়নি।
উল্লেখ্য, এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর এবং ৩০ আগস্ট কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই দফা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।