তত্ত্বাবধায়ক সরকার
রায় নিয়ে আপিল শুনানির অনুমতি সর্বোচ্চ আদালতের

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৩:১১ পিএম

সুপ্রিম কোর্ট। ছবি : সংগৃহীত
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পাশাপাশি এ বিষয়ে আরো শুনানির জন্য আগামী ২১ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
বুধবার (২৭ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর আগে রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেন আদালত।
রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাজনৈতিক দল ও ছয় ব্যক্তির করা চারটি আবেদনের ওপর দ্বিতীয় দিনের শুনানি হয় আজ।
আরো পড়ুন : নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কার্যকর সমাধান চায় আপিল বিভাগ
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয় ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট ত্রয়োদশ সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করে রিট খারিজ করেন।
পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে আপিল হয়। এর ধারাবাহিকতায় আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ৩০ জুন সংসদে পাস হয় পঞ্চদশ সংশোধনী আইন, যার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করা হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। অন্যরা হলেন, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
এছাড়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত বছরের ১৬ অক্টোবর একই বিষয়ে আবেদন করেন। জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গত বছরের ২৩ অক্টোবর একটি আবেদন করেন। পরবর্তীতে নওগাঁর রানীনগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান।