ইন্টারকানেকশনের ৬৯০ কোটি টাকা কোন খাতে ব্যবহার করছে রবি ও বাংলালিংক?

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৩:২০ পিএম

রবি ও বাংলালিংক
টেলিকম খাতে ইন্টারকানেকশন চার্জ থেকে জমে ওঠা প্রায় ৬৯০ কোটি টাকা কোন খাতে ব্যয় হচ্ছে—এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গ্রামীণফোন। ২০১৯ সালে গ্রাহক সংখ্যা ও রাজস্বের অংশীদারিত্ব ৪০ শতাংশের বেশি হওয়ায় বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে সিগনিফিকেন্ট মার্কেট প্লেয়ার (এসএমপি) অপারেটর ঘোষণা করে।
এসএমপি নীতিমালা অনুযায়ী, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটক থেকে গ্রামীণফোনে কল আসলে গ্রামীণফোন পায় মিনিটে ৭ পয়সা। অপরদিকে গ্রামীণফোন থেকে ওই তিন অপারেটরে কল গেলে নির্দিষ্ট অপারেটর পায় মিনিটে ১০ পয়সা। এতে করে প্রতি মিনিটে ৩ পয়সা জমা হয় নন-এসএমপি অপারেটরদের নিজস্ব তহবিলে। এভাবে পাঁচ বছরে ওই তহবিলে জমেছে প্রায় ৬৯০ কোটি টাকা।
বিধিমালা অনুযায়ী, এ অর্থ ব্যয় করা যাবে ৯টি নির্দিষ্ট খাতে—যার মধ্যে রয়েছে দুর্গম ও প্রান্তিক অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাফেটেরিয়ায় ফ্রি ওয়াই-ফাই সেবা ইত্যাদি। তবে এ অর্থ সত্যিই নির্ধারিত খাতে ব্যয় হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তানভীর মোহাম্মদ।
সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “৬৯০ কোটি টাকা কোথায় ব্যয় হচ্ছে, সে বিষয়ে বিটিআরসিতে নির্দিষ্ট রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু এখনো তেমন কোনো রিপোর্ট দেখা যায়নি। বরং শোনা যাচ্ছে, কোনো কোনো অপারেটর এই অর্থ সাধারণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ব্যবহার করছে, যা এসএমপি নীতিমালার মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে।”
তিনি আরও দাবি করেন, এসএমপি বিধিমালার বৈষম্যমূলক ইন্টারকানেকশন চার্জের কারণে গত পাঁচ বছরে গ্রামীণফোন প্রায় ৬৯০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে। এ অবস্থায় নীতিমালা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ইন্টারকানেকশন চার্জ স্থগিত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিযোগিতা কমিশনে রবি ও বাংলালিংকের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে গ্রামীণফোন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কোম্পানির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। তিনি দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে জানান, গ্রামীণফোন সর্বদা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অ্যাক্ট ২০০১ অনুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করে এবং কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করে না।