চানখারপুলে ৬ হত্যা
হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৭ সেপ্টেম্বর (রোববার) দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের আবেদনের ভিত্তিতে এ দিন নির্ধারণ করা হয়।
এর আগে, গত ২১ আগস্ট এ মামলার চতুর্থ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। ওই দিন শহীদ রাকিব হোসেন হাওলাদারের বাবা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বড় ভাই রাহাত হাওলাদার ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেন। তারা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
আরো পড়ুন : আপিল বিভাগে বহাল তারেক রহমান-বাবরের খালাসের রায়
গত ১৩ আগস্ট তৃতীয় দিনে সাক্ষ্য দেন শহীদ ইয়াকুবের মা রহিমা আক্তার, প্রতিবেশী চাচা শহীদ আহমেদ এবং শহীদ মো. ইসমামুল হকের ভাই মহিবুল হক। এর আগের দিন ১২ আগস্ট দ্বিতীয় দিনে সাক্ষ্য দেন সহযোগী অধ্যাপক আঞ্জুয়ারা ইয়াসমিন এবং শেখ মাহদী হাসান জুনায়েদের বাবা শেখ জামাল হাসান।
প্রথম দিনে (১১ আগস্ট) চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সূচনা বক্তব্যের পর মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন শহীদ আনাসের বাবা সাহরিয়ার খান পলাশ। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত আটজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আজও চারজন আসামিকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেন, শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশেদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ও মো. নাসিরুল ইসলাম।
তবে মামলার চার আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।
গত ১৪ জুলাই ট্রাইব্যুনাল আটজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চানখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদী হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক শহীদ হন। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।