জুলাই গণহত্যা
শেখ হাসিনার মামলার রায়ের তারিখ ধার্য হবে যেদিন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম

শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিন আসামির রায় ঘোষণার তারিখ আগামী ১৩ নভেম্বর নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১২টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ ঘোষণা দেন।
এর আগে মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি খণ্ডন শেষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত (স্টেট ডিফেন্স) আইনজীবী আমির হোসেন তিন দিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে তাদের নির্দোষ দাবি করে খালাসের আবেদন করেছেন। রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষেও আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ যুক্তিতর্ক দেন ও খালাস চান।
বুধবারের শুনানিতে সাক্ষীদের জবানবন্দি নিয়ে প্রতিরক্ষা যুক্তি তুলে ধরেন আমির হোসেন। তিনি রাজসাক্ষী মামুন, দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ কয়েকজনের সাক্ষ্য চ্যালেঞ্জ করেন। তার দাবি, মামুন নিজের দায় এড়াতেই রাজসাক্ষী হয়েছেন।
প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন মিজানুল ইসলাম, গাজী এম.এইচ. তামিম, ফারুক আহাম্মদ, মঈনুল করিম ও সুলতান মাহমুদসহ অন্যান্যরা।
এর আগে ১৬ অক্টোবর টানা পাঁচদিনের যুক্তিতর্ক শেষে চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানান। একইসঙ্গে রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনের শাস্তির সিদ্ধান্ত আদালতের ওপর ছেড়ে দেন।
প্রসিকিউশন তাদের যুক্তিতে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারের সময়কার গুম, খুন ও হত্যাযজ্ঞের ঘটনা তুলে ধরে। মোট ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়।
এই মামলায় আসামি তিনজন— শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। মামুন নিজের দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন। গত ১০ জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল বিচার শুরুর আদেশ দেয়।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়। আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রের মোট আয়তন ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠা, যার মধ্যে তথ্যসূত্র ২,০১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণ ৪,০০৫ পৃষ্ঠা, আর শহীদদের তালিকার বিবরণ ২,৭২৪ পৃষ্ঠা। সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে।গত ১২ মে তদন্ত সংস্থা চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেয়।