গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে তদন্ত হবে: প্রেস সচিব

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫, ১০:৫১ এএম

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি : সংগৃহীত
গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কার্যক্রম শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) আয়োজিত “গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা” অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে এবং বহু মানুষ গুম ও হত্যার শিকার হয়েছে। বিএনপির অভিযোগ, তাদের নেতাকর্মীদের নামে প্রায় ৬০ লাখ মামলা হয়েছিল তৎকালীন সরকারের আমলে। এই সময়ে সাংবাদিকতার ভূমিকায় আমরা কতটা নিরপেক্ষ ছিলাম, তা এখন মূল্যায়নের সময় এসেছে।
আরো পড়ুন : ৭ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা
প্রেস সচিব বলেন, আমরা জাতিসংঘকে চিঠি লিখছি— বাইরের নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে বাংলাদেশের সাংবাদিকতা তদন্ত করুক। এভাবে একটি নির্ভরযোগ্য মূল্যায়ন সম্ভব হবে এবং জনগণের মধ্যে সাংবাদিকতার প্রতি বিশ্বাস ফিরবে।
শফিকুল আলম বলেন, একজন সাংবাদিকের রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে, তবে তার কাজ হওয়া উচিত তথ্যভিত্তিক ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন। বিগত সরকারের সময় সাংবাদিকতা ছিল সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন। এখন অন্তর্বর্তী সরকার সেই নিয়ন্ত্রণ থেকে সাংবাদিকতাকে মুক্ত করতে কাজ করছে।
তিনি দাবি করেন, গত ১১ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের জন্য একটি উন্মুক্ত পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করেছে। এর অংশ হিসেবে বিতর্কিত ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে নতুন ও গণমাধ্যমবান্ধব আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, বর্তমানে সরকার গণমাধ্যমে ন্যূনতম হস্তক্ষেপ করছে না এবং কোনো সংস্থা যেন সাংবাদিকদের ভয় দেখাতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে গণমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম কেউ যেন মিথ্যা প্রচারের কাজে ব্যবহার না করে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, সরকারকে সমালোচনা করা গণমাধ্যমের অধিকার। আমরা সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। কিন্তু যারা মিথ্যাচার করে, তাদেরকে প্ল্যাটফর্ম দিলে জনগণ বিভ্রান্ত হয়।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে সম্প্রচার মাধ্যমের জন্য আলাদা কমিশন গঠন, পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ এবং একটি পৃথক বেতন কাঠামো চালুর দাবি জানানো হয়।