রাউজানে প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম

নিহত মো. সেলিম। ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. সেলিম (৪০) নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। রবিবার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ঈষাণ ভট্টের হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নিহত সেলিম কদলপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শমসের পাড়া এলাকার আমির হোসেনের ছেলে।
নিহতের ফুফাতো ভাই মো. রিদুয়ান জানান, পারিবারিক কাজে অংশ নিতে সেলিম তার স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার এবং এক মেয়েকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ঈষাণ ভট্টের হাট এলাকায় যান। সেখানে এক আত্মীয়র জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে ওষুধ কিনতে গেলে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা থেকে বোরকা পরা দুই যুবকসহ ৪-৫ জন সেলিমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
আরো পড়ুন : ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে আগ্রহের পাশাপাশি হতাশাও রয়েছে
তিনি জানান, একটি গুলি তার মাথায় লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার বলেন, আমরা জানাজা শেষে বাজারে ওষুধ কিনতে যাচ্ছিলাম। সিএনজিতে করে একদল লোক এসে গুলি চালায়। আমার স্বামীর মাথায় গুলি লাগে। আমরা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যাই। আমি হামলাকারীদের একজনকে চিনি, তার নাম ইলিয়াস। বাকিদের মুখ দেখলে চিনতে পারব।
তিনি আরো জানান, দুর্বৃত্তদের আচরণ দেখে মনে হয়েছে তারা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। নিহত সেলিম যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, এবং রাজনৈতিক বিরোধ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে।
এ বিষয়ে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, ঈষাণ ভট্টের হাট এলাকায় সেলিম নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
তিনি জানান, পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে, খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন নিহতের স্বজনরা। হাসপাতালের চারপাশে আহাজারি ও কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। নিহতের পরিবার দ্রুত বিচার ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।