ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়নি: ইরান

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৯:৩২ এএম

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাঘচি। ছবি : সংগৃহীত
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়নি। ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে তবে ইরানও বন্ধ করবে বলে জানিয়েছেন সৈয়দ আব্বাস আরাঘচি।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, দখলদার ইসরায়ে যদি তাদের ‘অবৈধ হামলা বন্ধ করে’ তাহলে ইরানও আর হামলা চালাবে না।
তিনি দখলদারদের ইরানি সময় মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোর ৪টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। আরাঘচি জানিয়েছেন, এ সময়ের মধ্যে হামলা বন্ধ করতে হবে। তবে এ সময় ইতোমধ্যে পার হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ইরান যেমনটা বারবার স্পষ্ট করেছে- ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে, ইরান করেনি। এ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো চুক্তি এবং হামলা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়নি।
কিন্তু যদি বেধে দেওয়া সময় ভোর ৪টার মধ্যে ইরানের মানুষের ওপর ইসরায়েলের অবৈধ হামলা বন্ধ হয়। তাহলে এরপর তেহরানের আর যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। আমাদের সামরিক হামলা বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে।
এদিকে, কাতারে অবস্থিত আল-উদেইদ মার্কিন ঘাঁটিতে সোমবার রাতে প্রতিশোধমূলক হামলা ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ কাতারের বিরুদ্ধে নয় বলে জানিয়েছে ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ।
আরো পড়ুন : যুদ্ধ শেষ করতে চায় ইসরায়েল, ইরানের কাছে পাঠিয়েছে বার্তা
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছে, আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কাতারের আবাসিক এলাকা থেকে দূরে পরিচালিত হয়েছে।
পরিষদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ কাতার এবং এর সম্মানিত জনগণের জন্য কোনো হুমকি নয়।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান কাতারের সঙ্গে উষ্ণ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক বজায় রাখতে এবং তা চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উল্লেখ্য, কাতার এই হামলাকে তাদের সার্বভৌমত্বের নির্লজ্জ লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে। এর আগে কাতারের রাজধানী দোহার আকাশে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
আল-উদেইদ ঘাঁটির দিকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ইরাকেও একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপেরও খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার দিনগত রাতে ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি হামলা চালায়, তবে তার জবাব কঠিন হবে।
এ পর্যন্ত মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ কিংবা কাতার সরকার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে ইরান হামলার কথা স্বীকার করেছে।