নিউইয়র্কে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে হেনস্তার চেষ্টা, ডিম নিক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১০:৪৯ পিএম

বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসের দরজা ভাঙচুর করেন আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা (বাঁয়ে), তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ঢোকার সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ এবং হেনস্তার চেষ্টা করেছেন আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা। রোববার (২৪ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এদিন কনস্যুলেট অফিসে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাহফুজ আলম। তিনি কনস্যুলেটে প্রবেশের সময় আওয়ামী লীগের পতাকা হাতে কর্মী ও সমর্থকেরা 'জয় বাংলা', 'জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় তাকে উদ্দেশ করে ডিম ছোড়েন এবং তার বিরুদ্ধেও নানা স্লোগান দেন তারা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ওয়াশিংটন ডিসিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা বলেন, একটা দেশে রাজতন্ত্র চলছিল। সেদেশের রাজা ছিলেন, রাজার বোন ছিলেন, রাজার ছেলে-মেয়েরা রাজপুত্র ছিলেন। পুরো দেশটা তাদের ছিল। আপনারা ছাত্র জননেতারা রক্ত দিয়ে সেই রাজার পতন ঘটালেন, দেশ থেকে বিতাড়িত করলেন। এখন সে একটা ডিম নিক্ষেপ করবে, একটা কটুক্তি করবে, মাহফুজ আলমের পতন চাইবে; এটাই তো স্বাভাবিক।
প্রবাসীদের জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, জুলাই সনদে প্রবাসীদের অবদান উল্লেখ থাকবে। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের অংশীজন নই। আমরা চাই ভবিষ্যতে যারাই ক্ষমতায় আসুক, তারা জুলাই চেতনাকে ধারণ করে দেশ পরিচালনা করবেন। দুর্নীতিমুক্ত, জবাবদিহিমূলক হবে রাষ্ট্র। নিজের রাজনৈতিক চেতনার চেয়েও দেশকে প্রাধান্য দিতে হবে। সবার ঊর্ধ্বে দেশকে এবং দেশের জনগণকে যেন আমরা রাখি।
বাংলাদেশে ভারতীয় টেলিভিশন বা গণমাধ্যম বন্ধ করার আহ্বান প্রসঙ্গে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আমি কোনো কিছু বন্ধ করে দেয়ার পক্ষে নই। আমি সবসময় বিকল্প ভালোর কথা বলে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের কোনো কিছুও বন্ধ করে দেয়ার পক্ষে নই।
গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, অনুষ্ঠান চলাকালে মাহফুজ আলম কখন বের হবেন, সেজন্য বাইরে বিক্ষুব্ধ আওয়ামী নেতা-কর্মীরা অপেক্ষা করছিলেন। তাদের অবস্থান বুঝে কনস্যুলেট কর্তৃপক্ষ পুলিশকে অবহিত করে। স্থানীয় সময় রাত ১২টার পর নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের পাহারায় কনস্যুলেট অফিস থেকে বের হন তিনি।