ভোটের মাঠে ৮ দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রাখার প্রস্তাব

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটের আগে ও পরে মোট আট দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলো।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাক-প্রস্তুতিমূলক আইনশৃঙ্খলা বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য চার নির্বাচন কমিশনার, স্বরাষ্ট্র সচিব, ইসি সচিব এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে এই বৈঠক।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, প্রাথমিকভাবে ভোটের আগে ও পরে পাঁচ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আজকের বৈঠকে তা বাড়িয়ে আট দিন রাখার প্রস্তাব এসেছে। প্রস্তাবটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করা হবে।
তিনি জানান, ভোটের পরিবেশ বর্তমানে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ, কোনো উদ্বেগ বা শঙ্কা প্রকাশ করেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন অনেকাংশে নির্বাচন বাজেটের ওপর নির্ভর করবে, যা পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত হবে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার রোধে বিশেষ নজরদারি, ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ, এবং পুলিশ সদস্যদের বডিওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, এই নির্বাচনে আনুমানিক ৯০ হাজার থেকে এক লাখ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য দায়িত্বে থাকবেন। সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকবে আনসার বাহিনীর, যাদের প্রায় পাঁচ লাখ সদস্য বা তারও বেশি মোতায়েন থাকবে। প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য বাহিনীও সম্পৃক্ত থাকবে।
তিনি জানান, সশস্ত্র বাহিনী ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ নাকি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী নিয়োগ পাবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আরপিও সংশোধন সম্পন্ন হলে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী রমজানের আগে, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও আট দিনের জন্য সশস্ত্র বাহিনী মাঠে ছিল, তবে যাতায়াত ও প্রত্যাবর্তনের জন্য অতিরিক্ত পাঁচ দিন সময় নিয়েছিল। আর একাদশ সংসদ নির্বাচনে তারা ১০ দিন মাঠে দায়িত্ব পালন করেছিল।