প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক
বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনসহ যেসব দাবি জানালো বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ১০:১১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন ও নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণাসহ কিছু দাবি জানিয়েছে বিএনপি। শনিবার (২৪ মে) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই কথা জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরণের লক্ষ্যে বিএনপি প্রথম থেকেই একটি সুস্পষ্ট জাতীয় নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবি করে আসছে। আপনারা জানেন যে আমরা এটা প্রকাশ্যভাবে দাবি করে আসছি। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের জন্য আমরা দাবি জানিয়েছি।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক ও পারিবারিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে এবং সেজন্য আওয়ামী লীগের বিচার সবচেয়ে বেশি দাবি করে বিএনপি। এই বিচার প্রক্রিয়া কোনোভাবে অসম্পূর্ণ থাকলে বিএনপি সরকারে যখন যাবে, তখন স্বাধীন বিচার বিভাগের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংস্কার কার্যক্রম অবিলম্বে সম্পন্ন করে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দ্রুত রোডম্যাপ প্রদানের দাবি জানিয়েছি। যেকোনো উসিলায় নির্বাচন যত বিলম্ব করা হবে আমরা মনে করি আবার স্বৈরাচার পুনরায় ফিরে আসার পথ তৈরি হবে এবং এর দায়-দায়িত্ব বর্তমান সরকারের। বিএনপি সম্পর্কে যে নানা রকমের গুজব আছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে বলেছি, বিএনপি কখনোই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চায়নি। বরং প্রথম দিন থেকেই এই সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছি।
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিনটির একটার সঙ্গে আরেকটার কোনো সম্পর্ক নেই বলে আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। কেননা সংস্কার চলমান বিষয়, এটা চলতে থাকবে। আমরা আশা করছি, এই সরকার সবার সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটা সংস্কার প্রস্তাব দেবে এবং সেটা চলমান থাকবে। ভবিষ্যতে যদি জনগণ আমাদেরকে ক্ষমতায় বসায়, তাহলে আমরা সেই সংস্কার চলমান রাখার প্রচেষ্টা নেব।
নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার সুনির্দিষ্ট তারিখের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়নি। আমরা আমাদের দাবি জানিয়েছি। এই বিষয়ে উনারা কী বলেন, তারপর আমরা আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাব।
গণমাধ্যমকর্মীদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লিখিত বক্তব্যে আমরা জানিয়েছি, নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও দুইজন ছাত্র উপদেষ্টা, যাদের কারণে এই সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, তাদেরকে বাদ দিতে হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে তারা কোনো দ্বিমত পোষণ করেননি এবং নির্বাচনের ডিসেম্বরের আগেও হতে পারে, এই আলোচনাও হয়েছে।