রাজনীতি: দুই ‘মিত্রের’ ভোটের টক্কর
হরলাল রায় সাগর
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
দুই যুগের মিত্রতা এখন বেজায় বৈরী। বর্তমানে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর রাষ্ট্রক্ষমতা ভাগাভাগির সুখ মিইয়ে গেছে এক বছর আগে। এবার এককভাবে ক্ষমতার স্বাদ নিতে ভোটের লড়াইয়ে দল দুটি মুখোমুখি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে কথার মারপ্যাঁচে পরস্পরকে ঘায়েল করার যেন প্রতিযোগিতা চলছে। বিএনপি মনে করছে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া দল আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে একাত্তরের স্বাধীনতাপন্থি একক দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার জন্য বড় সুযোগ এসেছে। দলটি জামায়াতের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করছে। দক্ষিণপন্থিদের উত্থান ঘটেছে বলেও মন্তব্য করেছে।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী নিজেদের ইসলামপন্থিদের উত্থান হিসেবে দেখছে। বিএনপিকে উদ্দেশ করে দলটি বলছে, ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। প্রশাসনিক ক্যু করার চেষ্টা করছে। চাঁদাবাজি করারও অভিযোগ তোলা হয়েছে। চার দলীয় জোট গঠনের সময় বিএনপি বলেছিল- ‘বিএনপির আনুক‚ল্য নিয়েই ইসলামী দলগুলোকে চলতে হবে।’ আর এখন জামায়াত বলছে, ‘ইসলামপন্থিদের আনুকূল্য নিয়েই বিএনপিকে চলতে হবে।’
আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে অষ্টম জাতীয় সংসদের আগে ১৯৯৯ সালের ৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির নেতৃত্বে চার দলীয় ঐক্য জোট গঠন করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমীর গোলাম আযম ও ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান শায়খুল হাদিস আজিজুল হককে সঙ্গে নিয়ে এই জোট গঠন করেন। সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনও করে জোট। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করে। এ সময় বিএনপি ১৯৩টি এবং জামায়াত ১৭টি আসনে জয়লাভ করেছিল। বিএনপি একক সংখ্যাগরিষ্টতা অর্জন করলেও জোটভুক্ত হওয়ায় জামায়াতের কয়েকজন নেতাকে মন্ত্রিসভার সদস্য করা হয়।
এরপর ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে চার দলীয় জোটের ভরাডুবি ঘটে। এই নির্বাচনে জোট ৩৩টি আসন পায়। এর মধ্যে বিএনপি ৩০টি, জামায়াতে ইসলাম ২টি এবং বিজেপি ১টি আসন পেয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে চার দলীয় জোট সম্প্রসারণ করে বিএনপির নেতৃত্বে বিশ দলীয় জোট গঠিত হয়। এ জোটের বৈশিষ্ট্য ছিল ডানপন্থি ও মধ্য ডানপন্থি দলগুলোর সমন্বয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে জোটটির আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করে বিএনপি। ওই সময় ‘১২ দলীয় জোট’ এবং ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ নামে পৃথক দুটি জোট গঠন করা হলেও বিএনপি, জামায়াত, এলডিপি আলাদা থেকে যায়। অবশ্য এর আগে থেকেই জোটবদ্ধ কোনো কার্যক্রমে না গিয়ে এককভাবে কাজ করতে থাকে বিএনপি। এ সময় তারা শরিক দল ও অন্যান্য সমমনা দলকে সরকারের বিরুদ্ধে ‘যুগপৎ আন্দোলন’ করার আহ্বান জানায়। জোটে না থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ ছিল বিএনপি ও জামায়াত। আওয়ামী লীগ আমলে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যথেষ্ট প্রতিকূলতা ছিল। জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগ ওঠে জামায়াতসহ কিছু ধর্মভিত্তিক দলের বিরুদ্ধে। এতে তাদের বেশ জড়সড় হয়ে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করতে হয়েছে। এছাড়া তখন বড় দুই দলের ছিল ৪০/৪০ ভোট ব্যাংক। জামায়াত ও জাতীয় পার্টির প্রতিটির ৫ থেকে ১০ শতাংশ ভোট, বড় দুই দলের যে কোনো একটির সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে সহায়ক ছিল।
বাংলাদেশে একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর বিতর্কিত ভ‚মিকা তাদের রাজনীতিতে কোণঠাসা করে রেখেছিল। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইসলামী দলগুলো আবার হাঁটি হাঁটি পা নিয়ে বিএনপির আনুকূল্যে রাজনীতি করা শুরু করে। খালেদা জিয়াও জামায়াতকে জোটবদ্ধ করে দলটির নেতাদের মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। তখন ভাষ্য ছিল, ‘বিএনপির আনুকূল্য নিয়েই ইসলামী দলগুলোকে চলতে হবে।’
কিন্তু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ২০২৪ সালে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে সব কিছু বদলে যায়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে দীর্ঘ দুই যুগের সম্পর্কের অবসান ঘটে বিএনপি-জামায়াতের। কোণঠাসা হয়ে থাকা বিএনপি ও জামায়াত রাজনীতিতে শক্তির জানান দেয়। শুরু হয় তাদের বৈরিতা। এরই মধ্যে তাদের দাবির মুখে এ বছরের মার্চে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলে একক প্রভাব বিস্তারে দল দুটি মুখোমুখি অবস্থান নেয়। আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে রাজনৈতিক ময়দানে যেমন, সরকার কিংবা প্রশাসনেও তেমন প্রভাব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শুধু তাই নয়, দল দুটি পরস্পরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে থাকে।
এখন ইসলামী দলগুলো বিএনপির তাঁবু থেকে বের হয়ে এসে নিজেরাই তাঁবু খাটিয়েছে। জানান দিচ্ছে, ‘ইসলামপন্থিদের আনুক‚ল্য নিয়েই বিএনপিকে চলতে হবে।’ এখন জামায়াতে ইসলামী জোট গঠন করছে বিএনপির বিরুদ্ধে। জামায়াতের স্বাধীন রাজনীতির সব প্রতিকূলতা আপাতত দূর হয়ে গেল। এখন তারা আলাদা হয়ে সবখানে নিজেদের স্বাধীনতা উপভোগ করছে। জামায়াতের বিএনপির বন্ধুত্ব আর প্রয়োজন নেই। ৫ আগস্টের পর জামায়াত যথেষ্ট প্রভাবশালী হয়েছে। তারা সরকারের বিভিন্ন কাজকর্মে প্রভাবিত করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জামায়াত মাঠপর্যায়ে তাদের কর্মীদের কাজে লাগিয়ে তাদের প্রভাবকে দৃশ্যমান করেছে। তারা নিজেদের সৎ ও দেশপ্রেমিক হিসেবে প্রচার করছে।
অন্যদিকে ৫ আগস্টের পরপর বিএনপি ছিল কিছুটা হতচকিত। যেহেতু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে বিএনপির অংশগ্রহণ ছিল না বা থাকলেও সেটি জামায়াতের মতো জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র আন্দোলনে দলের প্রকাশ্য সমর্থন না দেয়ার বিষয়ে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেছেন, ১৭ বছর গাছে পানি দিয়েছে বিএনপি, ফল খেয়েছেন আপনারা। বিএনপির অনেক নেতৃস্থানীয় নেতা মেজর হাফিজের সঙ্গে একমত, জামায়াত নতুন বাংলাদেশে একাত্তরের কথা শুনতে চায় না।
সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জামায়াত ১৯৭১ সালে বিরোধিতা করেছিল, তারা এখন একাত্তরকে অস্বীকার করে চব্বিশকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তারা শুধু চব্বিশের জুলাইয়ের যে আন্দোলন তাকে বড় করে দেখাতে চায়। তিনি বলেন, আমরা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ফ্যাসিস্ট শক্তি হাসিনাকে উৎখাত করতে এক দিন নয়, ১৫ বছর সংগ্রাম করেছি। মুক্তিযোদ্ধারা সংগ্রাম করেছেন। আজকে যদি কেউ দাবি করেন, এককভাবে তারা নেতৃত্ব দিয়েছে- আমরা সেটা মানতে রাজি নই। সংসদ নির্বাচন নিয়ে জামায়াতে ইসলামী মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ওই দলটি বলছে- বিএনপি নাকি নির্বাচন পেছাতে চায়। কিন্তু বিএনপি তো নির্বাচনমুখী দল। অভ্যুত্থানের পর থেকে বিএনপি নির্বাচনের কথা বলে আসছে। আমরা বারবার বলেছি, নির্বাচনটা অতি দ্রুত করতে হবে। এসব মিথ্যা কথা বলে জনগণকে প্রতারণা করবেন না, মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না।
জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়নে সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নয় মাস সংলাপ করে বিএনপি ও জামায়াতসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। রাজনৈতিক সমঝোতার এই বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ হলেও বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মতভেদ রয়েছে দলগুলোর মধ্যে। একপর্যায়ে বিভিন্ন দাবিতে ৭টি ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দল নিয়ে অন্তত তিন মাস ধরে রাজপথে আন্দোলন করেছে জামায়াতে ইসলামী। এ সময় বিএনপির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে অভিযোগ তুলেন জামায়াতের শীর্ষ নেতারা। এমনকি প্রশাসন ও সরকারের বিরুদ্ধেও বিএনপির পক্ষে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা হয়। ঠিক একইভাবে জামায়াতের বিরুদ্ধে ‘উগ্রপন্থার উত্থান’, ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’ বলে অভিযোগ তোলা হয় বিএএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। এছাড়া প্রশাসন ও সরকারের বিরুদ্ধেও জামায়াতের পক্ষে একইরকম পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা হয়। এতে দেশে চলমান অবর্ণনীয় অস্থিরতার মাঝেও চরম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনৈতিক অঙ্গন। রাজনৈতিক সংকট দূর না হলেও পরষ্পরবিরোধী বিষোদগার এখনো অব্যাহত রয়েছে।
গত সোমবার জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, কোনো দেশপ্রেমিক দল চাঁদাবাজ হয়ে ৫ তারিখের পর আবির্ভূত হয়নি। যারা আর্বিভূত হয়েছিলেন, দায় ও দরদ নিয়ে তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। কিন্তু চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে। ক্ষমতায় না গিয়েও এখন অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন। প্রশাসনিক ক্যু করার চেষ্টা করছেন। আগামী নির্বাচন নিয়ে ছলে-বলে কৌশলে কেউ কেউ বিভিন্ন জায়গায় বসে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন। জনগণ ভোট দিক বা না দিক তাদের ক্ষমতায় যেতে হবে। বাংলাদেশে এটা হবে না। আমরা হতে দেব না।
ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়সহ কয়েটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের বিজয়কে পর্যবেক্ষকরা বলছেন ‘জামায়াতের উত্থান’। এছাড়া জামায়াতের শক্তি প্রদর্শন নিয়ে সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘বাংলাদেশে দক্ষিণপন্থিদের উত্থান।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বর্তমানে প্রভাশালী এই দুই দলের মাঝে যত দিন অন্য কোনো দল বড় জনসমর্থন নিয়ে আবির্ভূত না হবে, তত দিন তারা বিপরীত মেরুতে থাকবে। তবে তাদের জন্য কোনো নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিলে প্রয়োজনে খুব তাড়াতাড়ি এই দুই দল একই তাঁবুর নিচে আবার চলে আসতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকার আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে। সে লক্ষ্যে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই নির্বাচনে বিএনপি ১২ দলীয় জোট, সমমনা জাতীয়তাবাদী জোটসহ অনুসারী দলগুলোকে নিয়ে জোট বা সমঝোতার ভিত্তিতে ভোটে লড়াইয়ের কৌশল নিয়েছে। ইতোমধ্যে দলটি ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। একইভাবে জামায়াতে ইসলামী এখন পর্যন্ত দলীয় প্রার্থী ঘোমণা না করলেও জানিয়েছে, ৩০০ আসনেই তারা প্রার্থী বাছাই চূড়ান্ত করেছে। তবে শরিক দলসহ কোনো দলের সঙ্গে জোট করলে বা আসন ভাগাভাগি হলে ১০০ আসন ছেড়ে দিতে পারে।
বিএনপি ও জামায়াত বেশ কিছু দিন আগে থেকেই নির্বাচনী জনসংযোগ-সভা-সমাবেশ শুরু করেছে। মনোনীত প্রার্থীরা এলাকায় প্রচার চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগশূন্য মাঠ দখল এবং আওয়ামী সমর্থক ভোটার টানার চেষ্টা করছে দলগুলো। সংখ্যা লঘুদের আনুকূল্য পাওয়া ও ভোট টানার চেষ্টারও কমতি নেই দল দুটির। তবে এক্ষেত্রে অতীতের রেকর্ড ভেঙেছে জামায়াত। হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়েছে দলের নেতাকর্মীরা। গত শারদীয় দুর্গা পূজায় মন্দিরে গিয়ে সনাতনীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় এবং পূজার উৎসব ভাগাভাগি করেছেন নেতারা। এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বিভিন্ন মহল। তবে কিছু রাজনৈতিক দল ও অনেকে জামায়াতের এই কর্মকে তীর্যকভাবে দেখেছে, এটাকে ‘ভণ্ডামি’ বলেছে। তবে জামায়াত আসলেই সনাতনী ও আওয়ামী সমর্থকদের ভোট কতটা টানতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নিয়ে বিতর্ক চলে আসছে। বিএনপি বলছে একই দিনে দুই ভোট হবে। সরকারও এতে সায় দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে জামায়াত। দলটি বলে আসছিল- গণভোট আগে হতে হবে। তবে এখন সে অবস্থান থেকে সরে এসেছে জামায়াত। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সরকারের জারি করা আদেশকে বৈধতা দিতে গণভোট অত্যাবশ্যক। জামায়াতসহ ৮ দল গণভোট আলাদা দিনে করার প্রস্তাব দিলেও দেশের স্থিতিশীলতার কথা বিবেচনা করে তারা প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একই দিনে গণভোটে রাজি হয়েছে।
