ঈশ্বরদীতে ৮ কুকুরছানা হত্যার মামলায় নিশি রহমান গ্রেপ্তার
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম
ছবি : ভোরের কাগজ
পাবনার ঈশ্বরদীতে আটটি কুকুরছানাকে বস্তায় ভরে পুকুরে ফেলে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় অভিযুক্ত নিশি রহমানকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন ঈশ্বরদী থানায় মামলা করেন। বিষয়টি থানার ওসি আ স ম আব্দুন নূর নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, প্রাণী কল্যাণ আইন–২০১৯ এর ৭ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। এতে ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী নিশি রহমানকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার জানান, মামলা হওয়ার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে নিশি রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঈশ্বরদী পৌর এলাকার রহিমপুর গার্লস স্কুলের পাশে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তাকে আটক করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বুধবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
মামলার বাদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বলেন, ‘ঘটনাটি সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তারও এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ফোন করেন। এ ধরনের নিন্দনীয় কাজ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। প্রাণী হত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান জানান, কুকুরছানা হত্যার ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত নারীর স্বামী ও ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নকে সোমবারই গেজেটেড কোয়ার্টার ছাড়তে লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়। তারা মঙ্গলবার বিকেলে কোয়ার্টার খালি করেন।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ইউএনওর বাসভবনের এক কোণে টম নামে একটি মা কুকুর আশ্রয় নিয়ে ছিল। এক সপ্তাহ আগে সে আটটি বাচ্চা প্রসব করে। সোমবার সকালে ছানাগুলোকে না পেয়ে মা কুকুরকে ছুটোছুটি করতে দেখা যায়। পরে উপজেলা পরিষদের কর্মচারীরা জানতে পারেন, অভিযুক্ত নিশি জীবন্ত কুকুরছানাগুলোকে বস্তায় বেঁধে রোববার রাতের কোনো এক সময়ে উপজেলা পরিষদের পুকুরে ফেলে দেন। সোমবার সকালে পুকুর থেকে ছানাগুলোর মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং পরে সেগুলো ইউএনওর বাসভবনের পাশে মাটি চাপা দেওয়া হয়।
