একটা সময়ে বাংলাদেশের দুইশ পেরোনো নিয়েই শঙ্কা জেগেছিল। তবে সেই শঙ্কা কাটিয়ে কলম্বো টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৪৭ রানে থেমেছে টাইগাররা। যেখানে বড় অবদান লেজের সারির ব্যাটার তাইজুল ইসলামের। ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস উপহার দেন এই স্পিনার। 

দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই আসিথা ফার্নান্ডোর বলে এলবিডব্লিউ হন এবাদত হোসেন (৮)। এরপর দীর্ঘক্ষণ একাই লড়াই করেন তাইজুল। শেষ পর্যন্ত ৬০ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৩৩ রান করে স্পিনার সোনাল দিনুশাকে ডাউন দ্য উইকেটে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।

এর আগে, কলম্বো টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী মেজাজে শুরু করেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়। তবে এবারও ব্যর্থ বিজয়। ১০ বল মোকাবিলায় রানের খাতাই খুলতে পারেননি এই ওপেনার। আসিথা ফার্নান্দোর বলে বোল্ড হন তিনি। সবশেষ তিন ইনিংসে এটি তার দ্বিতীয় ডাক।

এরপর ভালোভাবেই সেট হয়েছিলেন মুমিনুল হক। তবে বড় ইনিংস খেলা হয়ে উঠেনি সাবেক এই অধিনায়কের। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে বদলি ফিল্ডার পাবান রত্মায়েকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩৯ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

তৃতীয় উইকেটে ৩১ রানের জুটি করেন সাদমান ও শান্ত। কিন্তু কেবল ২ রানের ব্যবধানে এই দুই ব্যাটারকে খুইয়ে ফেলে লাল-সবুজেরা। ৩১ বলে ৮ রান করে শান্ত এবং ৯৩ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন সাদমান।

এরপর বৃষ্টি বাগড়া শেষে খেলা শুরু হলে ভুল করে বসেন লিটন। ৬ বলে ২ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৩৪ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটার।

শেষ সেশনে মুশফিক-মিরাজ জুটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন সমর্থকরা। তবে তারাও প্রত্যাশার পারদ জিইয়ে রাখতে পারেননি। ৭৫ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৫ রান করে ফেরেন মুশি আর ৪২ বলে ৩১ রানে ফেরেন মিরাজ। এ ছাড়া ২৫ করে বোল্ড হন নাঈম হাসান।