এশিয়া কাপ
ফাইনালের আগে ভারতকে হুঁশিয়ারি পাক অধিনায়কের

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
এশিয়া কাপ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-পাকিস্তান। সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে সালমান আলি আঘার দল। টাইগারদের বিপক্ষে ম্যাচটি কার্যত সেমিফাইনালে পরিণত হয়েছিল। যেখানে উতরে গেছে পাক ব্রিগেড। আর ম্যাচ জিতেই ভারতকে 'সতর্ক' করেছেন সালমান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আগামী রোববার ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলার বিষয়ে। জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দল এখন সত্যি স্থিতিশীল হয়ে গিয়েছে। আমরা যে কাউকে হারাতে যথেষ্ট ভালো দল। আমরা উচ্ছ্বসিত এবং ফাইনালে তাদের হারাতে চাইব।
তিনি বলেন, আপনি যদি এই ধরনের ম্যাচ জেতেন, তাহলে আমাদের অবশ্যই বিশেষ দল হতে হবে। সবাই সত্যিই ভালো খেলেছে। ব্যাটিংয়ে কিছু উন্নতির প্রয়োজন আছে। কিন্তু আমরা সেটা নিয়ে কাজ করব।
পাক ক্যাপ্টেন বলেন, খুবই উত্তেজিত। আমরা জানি আমাদের কী করতে হবে। যেকোনো দলকে হারানোর জন্য আমরা যথেষ্ট ভালো দল। আগামী রোববার আমরা আসব এবং তাদের (ভারতকে) হারানোর চেষ্টা করব।
মুস্তাফিজ-রিশাদদের বিপক্ষে বেশ চাপে ছিল পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, ম্যাচের বিভিন্ন সময় মনে হয়েছিল, বাংলাদেশই জয়ী হতে পারে। তবে টাইগাররা জঘন্য খেলে পাকিস্তানকে যেন ফাইনালের টিকিট উপহার দেয়। সালমানদের দেয়া মাত্র ১৩৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। কোনও ব্যাটারই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি ক্রিজে। বরং বলা যেতে পারে, দাঁড়ানোর চেষ্টাও সেভাবে করেননি। এর জেরে ১১ রানে ম্যাচটি হেরে যায় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
অথচ ম্যাচটি দুর্দান্তভাবে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভারেই দু'টি উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। ১০ ওভারের শেষে সালমান আঘাদের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৪৬ রান। শেষ ১০ ওভারে ৮৯ রান তোলে তারা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান করে পাক ব্রিগেড। মোহাম্মদ হারিস করেন ৩১ রান, শাহিন আফ্রিদি ২টি ছক্কা মেরে ১৯ রান এবং মোহাম্মদ নওয়াজ ১৫ বলে ২৫ রান করেন।
সেই রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে ভালো ফর্মে থাকা সাইফ হাসান কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তবে তিনিও ১৮ রানে সাজঘরে ফেরেন। বাংলাদেশের গোটা ইনিংসে শামিম হোসেন (২৫ বলে ৩০ রান) ছাড়া কেউ ২০ রানের গণ্ডি পার করতে পারেননি। পাকিস্তানের হয়ে ৩টি করে উইকেট তুলে নেন হারিস রউফ ও শাহিন আফ্রিদি। ২টি উইকেট পান সাইম আয়ুব। আর ১ উইকেট লাভ করেন মোহাম্মদ নওয়াজ।