যুক্তরাষ্ট্রে আকস্মিক বন্যায় ১৩ জনের প্রাণহানি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ১১:০৬ এএম

বন্যাকবলিত এলাকা থেকে ১৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে গ্রীষ্মকালীন একটি ক্যাম্পে থাকা প্রায় ২৩ মেয়ে শিশু।
মৌসুমি বৃষ্টির কারণে গুয়াদালুপে নদীর পানি বেড়ে দুই কুল প্লাবিত হয়ে বন্যা হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্রীষ্মকালীন ওই ক্যাম্প নদীর ধারেই ছিল। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি আবহাওয়া অধিদপ্তর টেক্সাস হিল কান্ট্রির কার কাউন্টির কিছু এলাকায় বন্যার জরুরি সতর্কতা ঘোষণা করেছে।
সান অ্যান্টোনিও শহর থেকে প্রায় ৬৫ মাইল (১০৫ কিমি.) উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এ এলাকায় বজ্রসহ ভারী বৃষ্টি হয়েছে।
কার কাউন্টির কারভিলের নগর ব্যবস্থাপক ড্যালটন রাইস সাংবাদিকদের জানান, ভোর হওয়ার আগেই হঠাৎ ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়।
আগেভাগে কোনো সতর্কতা দেওয়ার সুযোগ পাননি তারা। খুব দ্রুতই গুয়াদালুপে নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে চলে যায়।
রাইস আরো বলেন, পুরো ঘটনাটি দুই ঘণ্টারও কম সময়ে ঘটেছে। এত দ্রুত বন্যা হয়েছে যে রাডার দিয়েও আগে থেকে বোঝা সম্ভব হয়নি।
কার কাউন্টির শেরিফ ল্যারি লেইথা সাংবাদিকদের বলেন, বন্যাকবলিত এলাকা থেকে ১৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাণহানির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
টেক্সাস লেফটেন্যান্ট গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক এর আগে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, কর্তৃপক্ষ নিখোঁজ ২৩ মেয়ে শিশুকে খুঁজছে।
আরো পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ কংগ্রেসে পাস, বড় জয় দাবি করলেন ট্রাম্প
ভোররাত ৪টার দিকে বন্যার সময় গুয়াদালুপে নদীর ধারে বেশ কয়েকটি গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পে ৭০০ জনেরও বেশি শিশু ছিল। ক্যাম্পে থাকা অন্য শিশুরা নিরাপদে আছে।
প্যাট্রিক জানান, ভারী বৃষ্টির কারণে গুয়াদালুপে নদীর পানি মাত্র ৪৫ মিনিটে ২৬ ফুট (৮ মিটার) বেড়ে যায়।
উদ্ধারকাজে ১৪টি হেলিকপ্টার ও ১২টি ড্রোন যুক্ত করা হয়েছে। শত শত উদ্ধারকর্মী গাছের ওপর আটকে পড়া মানুষ ও নদীর প্রবল স্রোতে ভেসে যাওয়া লোকজনকে উদ্ধার করছেন।