মামদানির জয়ে নিউইয়র্কে সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩৯ এএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত
নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির বিজয়ের পর শহরটির ওপর যুক্তরাষ্ট্র সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে, এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ করেছেন, মামদানির নেতৃত্বে নিউইয়র্ক এখন একটি কমিউনিস্ট শহরে পরিণত হবে।
তবে মামদানি জানিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয় সংক্রান্ত ইস্যুতে আলোচনায় বসতে আগ্রহী।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
বুধবার এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, নিউইয়র্কে জোহরান মামদানি মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র তার সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে। আমরা বিষয়টি দেখবো। তবে কীভাবে সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে, সে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি তিনি।
আরো পড়ুন : মামদানির জয়ে ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি মন্ত্রীরা, ইহুদিদের শহর ছাড়ার আহ্বান
ট্রাম্প বলেন, দেশটির সবচেয়ে বড় এই শহরটি এখন একটি কমিউনিস্ট শহরে পরিণত হবে। ফ্লোরিডা খুব শিগগিরই নিউইয়র্কের কমিউনিজম থেকে পালিয়ে আসা মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠবে।
মায়ামিতে দেওয়া বক্তৃতায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমেরিকানদের সামনে এখন সিদ্ধান্ত খুব স্পষ্ট— আমরা কমিউনিজম বেছে নেব, না কমনসেন্স? আমরা অর্থনৈতিক দুঃস্বপ্ন নয়, বরং অর্থনৈতিক অলৌকিকতা চাই।
তবে ট্রাম্প এটিও বলেন, আমরা চাই নিউইয়র্ক সফল হোক। আমরা ওকে (মামদানিকে) সামান্য সাহায্য করব, হয়তো একটু।
ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে নির্বাচনী জয়ের এক বছর পূর্তিতে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের অর্থনীতি উদ্ধার করেছি, স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি এবং এক বছর আগে সেই মহিমান্বিত রাতে একসঙ্গে দেশকে রক্ষা করেছি।
অন্যদিকে, ব্যবসায়ী মহল, রক্ষণশীল গণমাধ্যম ও ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা উপেক্ষা করেই নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন অভিবাসী মুসলিম রাজনীতিক জোহরান মামদানি।
বুধবার নিজের প্রতিক্রিয়ায় মামদানি বলেন, কীভাবে আমরা একসঙ্গে নিউইয়র্কবাসীর সেবা করতে পারি, সে বিষয়ে আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী।
মামদানি বলেন, আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো জীবনযাত্রার ব্যয়। আমি বিশ্বাস করি, এই বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
তিনি জানান, তিনিও তার নির্বাচনী প্রচারণায় জীবনযাত্রার ব্যয়, মুদ্রাস্ফীতি ও বাজারদর বৃদ্ধির বিষয়গুলোকে প্রধান ইস্যু করেছিলেন। প্রেসিডেন্টের এখান থেকে শেখার বিষয় হলো— শুধু শ্রমজীবী মানুষের সংকট চিহ্নিত করলেই হবে না, সেই সংকট মোকাবিলায় বাস্তব পদক্ষেপও নিতে হবে।
