মেহেরপুরের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রের রকেট আবিষ্কারের খবর ভাইরাল

মর্তুজা ফারুক রুপক, মেহেরপুর
প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ০৯:৫৩ পিএম
রকেট ও আকাশে থাকা রকেটের গতিপথ ও সেই সম্পর্কের তথ্য প্রেরণের যন্ত্র আবিষ্কার করে সবাইকে হতবাক করে দিয়েছেন সপ্তম শ্রেনীর ক্ষুদে বিজ্ঞানী আল-কাসাব। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় খুদে বিজ্ঞানী কসাব প্রথম হয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশের আকাশে শত্রুপক্ষের কোন বিমান হেলিকাপ্টার বা এধরণের কিছু আসলেই তা সনাক্তসহ ধ্বংশ করতে পারবে এ যন্ত্র।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহেবনগর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া শিক্ষার্থীর আল কাসাব। নিজের বুদ্ধিমত্তা, মেধা আর কম্পিউটারকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করছেন একের পর এক মহাকাশ যানের নতুন নতুন আবিষ্কার।
অবিষ্কার গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে রোভার যার মাধ্যমে চাঁদের তথ্য সংগ্রহ করা ও রেডিও কমিনিকেশনের মাধ্যমে ডেটা সেন্টারে তথ্য পাঠানো যায়। এছাড়া তৈরি করেছেন ১৮০ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেলের নাইট ভিশন ক্যামেরা। এ ক্যামেরার মাধ্যমে চাঁদে থাকা কিউরিসিক ওয়ান পৃথিবীতে থাকা এন্টিনার মাধ্যমে দেশের কম্পিউটারকে তথ্য প্রেরণ করবে।
কারো সহযোগিতা ছাড়ায় এমন বিস্ময়কর সব আবিস্কারের কথা শুনে অবাক হচ্ছে যে কেউ। সম্প্রতি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বিজ্ঞান মেলায় আল কাসাব তার সব উদ্ধাবনী সরঞ্জাম নিয়ে অংশ নেয়। আর অবাক করা বিষয় হচ্ছে এ সব বিস্ময়কর প্রযুক্তি অবিস্কার করে ঐ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় প্রথম স্থান লাভ করে কাসাব। এরপর থেকে তার এ সব আবিষ্কার দেখতে দুর দুরান্ত থেকে বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছে উৎসুক মানুষ।
প্রাইমারি স্কুল জীবনেই কাসাবের কম্পিউটার প্রোগ্রামীংএর হাতে খড়ি হয়। এই ছোট্ট বয়সেই এইচটি এমএল, পাইথন, জাভাস্ক্রিপট সহ বিভিন্ন প্রোগ্রাম আয়ত্ব করে। এরপর ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ার সমায় বিজ্ঞান মেলায়র অংশগ্রহণের জন্য সে কিউরিসিটি রোভার এই প্রগ্রামটি তৈরী করে। পুরোপুরি আর্থিক সমর্থ না থাকলেও নিজের যেটুকু আছে সেটুকু দিয়েই ছেলের উদ্ভাবনী আবিষ্কার এ সহযোগিতা করছেন বলে জানান কাসাবের বাবা মোসাদ্দেক আলী।
দেশের প্রযুক্তি খাত উন্নয়নের জন্য কাসাবসহ এধরনের মেধাবিদের পাশে স্থানীয় ও সরকারী পর্যায়ে সকল প্রকার সহযোগিতা করা উচিত বলে মনে করেন এলাকাবাসী। আল কাসাবের আবিষ্কার শুধু তার নয় সুনাম এনেছে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও। বিদ্যালয় পক্ষ থেকে আল কাসাবকে দেখভাল ও সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান সাহেবনগর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক।
আল কাসাবের মধ্যে এই প্রতিভা দেখে আবেগ আপ্লুত হচ্ছেন স্থানীয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। কাসাবের মতো মেধাবিদের ঠিকমতো কাজে লাগানো গেলে তারা দেশের সুনামের পাশাপাশি বিশ্বের সেরা সব বিজ্ঞানীদের তালিকায় নাম লেখাতে পারবে বলেও জানান তিনি।