মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদল নেতার হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১১ পিএম
নিহত আহমেদ সাব্বির। ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার চন্দ্রিমা মডেল টাউন এলাকা থেকে আহমেদ সাব্বির (২৮) নামে এক ছাত্রদল নেতার হাত বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত সাব্বির মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তার রুম থেকে মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সাব্বিরের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি বর্তমানে মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা মডেল টাউনের ১০ নম্বর রোডের বি-ব্লকের একটি ভাড়া বাসায় একা থাকতেন।
রাজনৈতিক সহকর্মী আকাশ জানান, “সাব্বির ভাইয়ের রুমমেট বাবু আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, তিনি দরজা খুলছেন না। পরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অনেকবার ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে পাশের নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে দেখি কিছুই দেখা যাচ্ছে না। পরে একটি রড এনে দরজা ভেঙে দেখি, হাত বাঁধা অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছেন, আর ফ্যানের সঙ্গে একটি রশি ঝুলছে। তখনই সবাইকে খবর দিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
ওই বাসার অতিথি সোহেল বলেন, “আমি সোমবার এখানে এসেছিলাম। সকালে ভাই আমাকে নাস্তা আনার জন্য ১০০ টাকা দেন। চারটি পরোটা, ডিম ভাজি ও সবজি নিয়ে ফিরে এসে দেখি, দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া পাইনি। পরে আকাশ ভাই এসে দরজা ভেঙে দেখেন, ভাই হাত বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছেন, গলায় ফাঁসের দাগও রয়েছে।”
আরো পড়ুন : ভোটকে এত ভয় কেন? জামায়াতকে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
ছাত্রদল নেতার মৃত্যুর খবরে মোহাম্মদপুর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খবর শুনে অনেক সহকর্মী হাসপাতালে ছুটে আসেন।
নিহতের বড় ভাই আব্দুল আজিজ বলেন, “আমরা যাত্রাবাড়ীতে থাকি। সাব্বির একাই মোহাম্মদপুরে থাকত। কয়েকদিন আগেই তার সঙ্গে কথা হয়েছে। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, কিছুই বুঝতে পারছি না।”
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বলেন, “ছাত্রদল নেতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই, তবে হাত বাঁধা ছিল এবং গলায় দাগ রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের কাজ চলছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তা ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
