২০২৫ সালে ৫ লাখ সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন : রাশিয়া
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৩ এএম
ছবি : সংগৃহীত
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রুশ বাহিনীর সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন প্রায় পাঁচ লাখ সেনা হারিয়েছে। এই বিপুল ক্ষতি নিকট ভবিষ্যতে পূরণ করা ইউক্রেনের পক্ষে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রিয়ে বেলৌসোভ।
রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম রাশিয়ান টেলিভিশন (আরটি) জানিয়েছে, বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বোর্ড মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও।
সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বেলৌসোভ বলেন, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রুশ বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে প্রায় পাঁচ লাখ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। এত বড় ক্ষতির পর নিকট ভবিষ্যতে কিয়েভের জন্য সেনাবাহিনী পুনর্গঠন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে।
আরো পড়ুন : সিরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
তিনি বলেন, ব্যাপক প্রাণহানির কারণে ইউক্রেনের বেসামরিক জনগণের মধ্যে সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদানের আগ্রহও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
বৈঠকে দেওয়া তথ্যে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, চলতি বছরে ইউক্রেন এক লাখ তিন হাজারেরও বেশি সমরাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম হারিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার পাঁচশ ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান, যেগুলো পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তা হিসেবে ইউক্রেনকে দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করা এবং ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের তদবিরকে কেন্দ্র করে কয়েক বছর ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী।
যুদ্ধ শুরুর অল্প সময়ের মধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি একটি ডিক্রি জারি করেন, যাতে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। যুদ্ধের শুরুতে সেনাবাহিনীতে যোগদানের ন্যূনতম বয়স ছিল ২৭ বছর, যা গত বছর কমিয়ে ২৫ বছর করা হয়েছে।
এদিকে, গত এক বছরে সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদানের নামে জোর-জবরদস্তির অভিযোগে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে সাধারণ জনগণ ও সামরিক সমাবেশ কর্মকর্তাদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।
তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এ বক্তব্যের বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইউক্রেন।
