হাদির হত্যাকারীদের অবস্থান সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৪ পিএম
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারী দেশে অথবা দেশের বাইরে অবস্থান করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৮তম সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল আসামির অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কোথায় আছে জানলে তো তাকে ধরে ফেলতাম। যদি আমাদের কাছে সে ধরনের নির্ভরযোগ্য তথ্য থাকত, তাহলে অবশ্যই গ্রেপ্তার করা হতো। সে দেশেও থাকতে পারে, আবার দেশের বাইরেও থাকতে পারে। তবে এক্সাক্ট লোকেশন জানা থাকলে তো আর দেরি হতো না।
তিনি বলেন, যদি আসামি বিদেশে গিয়েও থাকে, তবে তা বৈধ পথে নয়। সে বৈধ পথে দেশ ছাড়েনি। অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
আরো পড়ুন : হাদি হত্যার বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি ইনকিলাব মঞ্চের
হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই ঘটনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকেই কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি জানান, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে যৌথবাহিনী— পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির অভিযানে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ফয়সাল করিমের স্ত্রী শাহেদা পারভীন সামিয়া, তার মা ও বাবা, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ ও শিপু এবং ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে রোববার সারাদিন ধরে তার পদত্যাগের গুঞ্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পদত্যাগ করলে তো আর এখানে বসে কথা বলতাম না।
এ সময় তিনি জানান, দেশে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা ২০ জন রাজনীতিবিদকে একজন করে গানম্যান দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যাদের হিটলিস্টে আছে বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, তাদের আমরা আগেই গানম্যান দিয়েছি। ডিজিএফআই, এনএসআই ও এসবি যৌথভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের তালিকা করেছে। তবে অনেকে গানম্যান নিতে চাননি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে সবকিছু প্রকাশ করা যাবে না।
