‘সংযত থাকুন না হলে…’ নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি মন্তব্যে মামদানিকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি নিয়ে পরোক্ষ আলোচনা যখন কিছুটা ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল, তখনই হোয়াইট হাউসে বৈঠক করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আলোচনা শেষে নেতানিয়াহু জানান, ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যৎ ‘আরও উন্নত’ করে তুলতেই তারা এই বৈঠক করছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর উদ্দেশ্যই হচ্ছে গাজা ভূখণ্ড থেকে ফিলিস্তিনিদের বের করে দেওয়া। এরই মধ্যে আবার নিউ ইয়র্কের মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানির ‘ইহুদি-বিদ্বেষী’ মন্তব্যের জন্য তাকে কটাক্ষ করলেন ট্রাম্প।
গাজায় চলতে থাকা ইসরায়েলি হামলাকে সম্প্রতি কটাক্ষ করেছিলেন জোহরান। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এ-ও বলেন যে, নিউ ইয়র্কে নেতানিয়াহুকে স্বাগত জানানো হবে না। কোনোভাবে যদি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী সেখানে আসেনও, তাহলে আন্তর্জাতিক আইন আদালতের নিয়ম অনুযায়ী তাকে গ্রেফতার করা হবে।
মামদানির এই মন্তব্যগুলির প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে গত সোমবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প বলেন, মামদানি কোনও সমাজতান্ত্রিক নন, উনি কমিউনিস্ট। উনি ইহুদিদের ব্যাপারে এক সময়ে খুবই খারাপ মন্তব্য করেছেন।
ট্রাম্পের কথায়, শুধু ইহুদি নয়, আরও অনেকের ব্যাপারেই তিনি (মামদানি) কু মন্তব্য করেছেন এর আগে। যদি নিজের আচরণ ঠিক না করেন, তা হলে ভবিষ্যতে বড় বিপদে পড়তে হবে তাকে। গ্রেফতার প্রসঙ্গে অবশ্য কোনও মন্তব্যই করেননি নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, বিশ্বে এমনিতেই প্রচুর পাগলামি রয়েছে, মনে হয় কখনই এসব শেষ হবে না।
প্রসঙ্গত, সোমবারের পরোক্ষ আলোচনাতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও স্থায়ী সমাধান মেলেনি। মঙ্গলবার অবশ্য এই বৈঠকের মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের এক মুখপাত্র, মাজিদ আল-আনসারি বলেন, বোঝাপড়ায় আসতে সময় লাগবে। তাই এখনই এ নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।
যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু বলেন, গাজার মানুষ যদি থাকতে চান তো থাকবেন। তা না চাইলে তাদের যেতেও দিতে হবে। নিজের ইচ্ছা মতো থাকা-যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারা উচিত। তবে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি নিয়ে যখন উৎসাহী আন্তর্জাতিক মহল, তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় হামলা-পাল্টা হামলা অব্যাহত।