ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার স্বীকৃতির তাৎপর্য কী?

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
কাগজে কলমে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বলে কিছু নেই। তবে রাষ্ট্র হিসেবে বহু দেশ এই ভূখণ্ডকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে। বিভিন্ন দেশে এই দেশের কূটনৈতিক মিশনও রয়েছে।
অলিম্পিকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণও করে তারা। কিন্তু ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের দীর্ঘসময়ের বিরোধের কারণে ফিলিস্তিনের কোনো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানা, রাজধানী বা সেনাবাহিনী নেই।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বহু বছরের দখলদারিত্ব চলার পর ১৯৯০'এর দশকে 'প্যালেস্টিনিয়ান অথরিটি' বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয়। যাদের ওই ভূখণ্ড ও সেখানে বসবাসরত মানুষের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই।
ইসরায়েলের আগ্রাসনে গাজা এখন যুদ্ধক্ষেত্র। কাজেই এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়া অনেকটাই প্রতীকী। নৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বিবেচনা করলে এটি বেশ শক্ত পদক্ষেপ। কিন্তু বাস্তবতা হলো–এই সিদ্ধান্তে ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি খুব একটা পরিবর্তন হবে না।
তবে এই প্রতীকী পদক্ষেপও বড় পরিবর্তন আনতে পারে। জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রায় ৭৫ ভাগই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সংস্থাটিতে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ 'স্থায়ী পর্যবেক্ষক' হিসেবে। এর অর্থ তারা জাতিসংঘের কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে। কিন্তু কোনো বিষয়ে ভোট দিতে পারবে না।
ব্রিটিশ আর ফরাসিদের স্বীকৃতির পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশের চারটির সমর্থনই পাবে ফিলিস্তিন। চীন আর রাশিয়া ১৯৮৮ সালে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সেটি হলে ইসরায়েলের সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র যুক্তরাষ্ট্র অনেকটাই একঘরে হয়ে পড়বে।
ওয়াশিংটন অবশ্য মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন 'প্যালেস্টিনিয়ান অথরিটি' বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে স্বীকৃতি দেয়। যেটি ১৯৯০ এর দশকে গঠিত হয়েছিল। ওই ঘটনার পর থেকে অনেক দেশের প্রেসিডেন্টই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।