কুষ্টিয়ায় ছয় হত্যা
হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। ছবি : সংগৃহীত
জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালীন কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
ট্রাইব্যুনালের সূত্রে জানা গেছে, শুনানির শুরুতে প্রসিকিউশন পক্ষ হানিফসহ চারজন পলাতক আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ গঠনের ওপর যুক্তি উপস্থাপন করবেন। এরপর বিচারের আনুষ্ঠানিক আবেদন জানানো হবে। তবে আসামিদের পক্ষে নিয়োগপ্রাপ্ত স্টেট ডিফেন্স আইনজীবীরা বক্তব্য না দিলে ট্রাইব্যুনাল পরবর্তী আদেশ বা সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউশন কর্মকর্তারা।
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হলেও পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ করে ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে আজকের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
আসামিরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা।
এই চারজনের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য, ষড়যন্ত্র এবং কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার অভিযোগে তিনটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল-২ আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর আগের দিন (৫ অক্টোবর) প্রসিকিউশন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। এরপর ১৪ অক্টোবর আসামিদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা না আসায়, ট্রাইব্যুনাল জাতীয় দুই দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয়। ওই দিন প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় সংঘটিত ঘটনায় ছয়জন নিহত ও কয়েকজন আহত হন। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাসানুল হক ইনু ও মাহবুবউল আলম হানিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি পৃথক মামলা হয়। পরে তদন্ত সম্পন্ন করে তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন জমা দেয়।
