×

আইন-বিচার

জুলাই গণহত্যা

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার মামলার রায় পড়া শুরু

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার মামলার রায় পড়া শুরু

ছবি : সংগৃহীত

চব্বিশের জুলাই–আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে রায় পাঠ শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর ট্রাইব্যুনাল–১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায় পড়া শুরু করেন। অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

মামলাটিতে দু’জন আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামাল পলাতক। তবে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় এক বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন সাবেক আইজিপি মামুন। রাজসাক্ষী হিসেবে তিনি ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিয়েছেন। ফলে তার শাস্তি নির্ধারণের বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দিয়েছে প্রসিকিউশন। অন্যদিকে হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটের পর কড়া নিরাপত্তায় প্রিজনভ্যানে করে মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। শেষবারের মতো মাথা নিচু করে তাকে হাজতখানায় যেতে দেখা যায়।

এদিকে রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের কঠোর নিরাপত্তা। পুলিশ, র‍্যাব, এপিবিএন, বিজিবির পাশাপাশি মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনীও। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও তৎপর রয়েছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকেই দোয়েল চত্বর থেকে শিক্ষাভবনমুখী সড়ক বন্ধ রাখা হয় এবং জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হয়।

গত ১৩ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল। একই তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল দিনটি চূড়ান্ত করেন।

মামলার কার্যক্রমে মোট ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়। এরপর ৯ কার্যদিন ধরে চলে প্রসিকিউশন ও রাষ্ট্রনিযুক্ত ডিফেন্সের যুক্তিতর্ক ও পাল্টা যুক্তিখণ্ডন। ২৩ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন তাদের বক্তব্য শেষ করলে রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়।

প্রসিকিউশন যুক্তিতর্কে হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে। অন্যদিকে রাজসাক্ষী হওয়ায় মামুনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। তার খালাস চেয়েছেন তার আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ। রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেনও মনে করেন, হাসিনা–কামাল খালাস পেতে পারেন।

মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়, উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা এবং আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রের মোট পৃষ্ঠা আট হাজার ৭৪৭টি। এর মধ্যে দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা তথ্যসূত্র, চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা জব্দতালিকা–দালিলিক প্রমাণ এবং দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা শহীদদের তালিকা। মোট ৮৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। গত ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা দেয়।

টাইমলাইন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

 শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের মৃত্যুদণ্ড

মানবতাবিরোধী অপরাধ শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের মৃত্যুদণ্ড

এবারের নির্বাচন দেশ রক্ষার নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা

এবারের নির্বাচন দেশ রক্ষার নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা

শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত

ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত

রাজধানীতে গণপরিবহন কম, যাত্রীও কম

শেখ হাসিনার রায় রাজধানীতে গণপরিবহন কম, যাত্রীও কম

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App