×

জাতীয়

ঐকমত্য কমিশন

সনদ ঘিরে অচলাবস্থা, গণভোটও অনিশ্চিত!

Icon

হরলাল রায় সাগর

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম

সনদ ঘিরে অচলাবস্থা, গণভোটও অনিশ্চিত!

ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতিতে এখন ঐক্যের কাঁটা আলোচিত ও বিতর্কিত জুলাই জাতীয় সনদ। রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল এই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সংকট আরো গভীর হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘ সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল, সনদ স্বাক্ষরের দিন থেকে তাতে ভাটা পড়ে। আগে থেকে চলে আসা কিছু মতবিরোধ আরো প্রকট হয়ে ওঠে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তির জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোটের দাবি থেকে সরে এসেছে বিএনপি ও তার অনুসারী দলগুলো। তারা এখন দেশের সংবিধান ও বিদ্যমান আইন অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চাইছে।

বর্তমান সংবিধানে গণভোটের বিষয়ে বলা নাই উল্লেখ করে দলগুলো বলছে, আগামীতে নির্বাচিত সরকার সংবিধানে গণভোট যুক্ত করে, তারপর গণভোটে আসতে পারে। আগে গণভোটের দাবি তোলা নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়ার দুরভিসন্ধি ছাড়া কিছু নয় বলেও অভিযোগ তাদের। ঠিক এর উল্টো পথে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও তার অনুসারী দলগুলো। তারা জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তি দিতে নির্বাচনের আগেই গণভোট ও আদেশ জারির দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে আসছে।

এদিকে জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া তরুণদের দল এনসিপি গণভোটের বিষয়ে নমনীয় থাকলেও জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারির দাবি জানিয়েছে। এছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এই পরিস্থিতিতে এক অনিশ্চিয়তার দিকে যাচ্ছে দেশ। সরকার প্রতিশ্রুত ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়েও রাজনৈতিক দল ও জনমনের সংশয় দূর হচ্ছে না। 

অন্যদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ‘দুরূহ চ্যালেঞ্জে’ পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। যদিও সরকার চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে দলগুলোকে এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দেয়া হলেও সমাধানের পথ খুঁজছে; অনৈক্য নিরসনে একাধিক বিকল্প বিবেচনায় রেখেছে। এক্ষেত্রে বিএনপির দাবি অনুযায়ী একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট এবং জামায়াত ও এনসিপির দাবি অনুযায়ী ভোটের সংখ্যানুপাতে (পিআর পদ্ধতি) সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনাও চলছে বলে জানা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গতকাল বলেন, সারাদেশে ইলেকশনের জোয়ার এসেছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ নিয়ে কোনো দ্বিধা-সংকোচ থাকা উচিত নয়। ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এ লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টাসহ সবাই দিনরাত কাজ করছেন।

তিনি বলেন, শাসনব্যবস্থা ও জুলাই সনদ নিয়ে বিতর্ক সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। সারা বিশ্বে সংবিধান-সংক্রান্ত বিতর্কে সময় লাগে, কখনো তা দশক ধরেও চলে। রাতারাতি কোনো সমাধান চাপিয়ে দেয়া যায় না। যদি রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত না নিতে পারে, তাহলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনিশ্চয়তা দূর করতে ম্যান্ডেট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার। তিনি বলেন, আমরা এখন একটি ফ্র্যাকচারড পলিটিক্যাল সিচুয়েশন দেখছি। এখন ডান, বাম ও মধ্যপন্থি- সব পক্ষের অংশগ্রহণে গণতান্ত্রিক সমাধান প্রয়োজন। 

জুলাই আন্দোলনে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া দল আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ২০২৪ সালের আগস্টে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। রাষ্ট্র সংস্কারের নামে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৭ সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এই কমিশনের সভাপতি ও আমেরিকা প্রবাসী অধ্যাপক আলী রীয়াজ সহসভাপতি ছিলেন। এই কমিশন নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ৫২টি রজৈনৈতিক দলের মধ্যে (৩১ অক্টোবর পর্যন্ত) ৩০টি দলের সঙ্গে বৈঠক করে। ২৭০ দিনের বৈঠকে তৈরি করা হয় জুলাই জাতীয় সনদ; যা ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয়।

তবে এতে ছাত্রনেতৃত্ব থেকে গড়ে ওঠা জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, যারা জুলাই সনদের দাবিটি প্রথম তুলেছিল তারা সই দেয়নি। একইসঙ্গে চারটি বামপন্থি দল রাষ্ট্রের মূলনীতি পরিবর্তন করার প্রতিবাদে সনদে সই দেয়নি। সনদে বিএনপিসহ কিছু দল ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট দেয়। এরপর থেকেই জুলাই সনদ নিয়ে বিতর্ক ওঠে। এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলেরা মধ্যেও সংকট ঘণিভ‚ত হতে থাকে। এই বিতর্ক আরো জোরালো হয় জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশমালা ঘিরে। কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশমালা হস্তান্তর করে। এটা নিয়েও বিতর্ক চলছে। কারণ যিনি সরকারপ্রধান, তিনি ঐকমত্য কমিশনেরও প্রধান। ওই সুপারিশমালায় বলা হয়, সনদ বাস্তবায়নে নির্বাচনের দিন বা আগে গণভোট হতে পারে।

এছাড়া যদি ৯ মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ উল্লিখিত বিষয়ে আইন পাস না করে, তাহলে সেটা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে অনুমোদিত হয়ে যাবে। জুলাই সনদে ঐকমত্যের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের আপত্তিগুলো লিপিবদ্ধ হলেও আইনি ভিত্তির সুপারিশে বাদ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে বিএনপি ও তার অনুসারীরা আপত্তি তুলে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে জামায়াত ও তার অনুসারীরা শুধু গণভোট নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠানের দাবিতে অনড় রয়েছে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সংবিধানের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে, তারা এই সংবিধানের অধীনে শপথ নিয়েছেন। এই সংবিধানে গণভোট নিয়ে কিছু নেই। আগামীতে নির্বাচনে পাস করে সংসদে গিয়ে সংবিধানে গণভোট যুক্ত করে এরপর গণভোটে আসতে পারে। 

গণভোটের দাবি নিয়ে কথায় কথায় রাস্তায় না নামার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, কথায় কথায় আপনি দাবি নিয়ে রাস্তায় যাবেন, সেটা হবে না। আপনাদের দাবি নিয়ে মাঠে যাবেন, এর বিপরীতে যদি দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক দল কর্মসূচি দেয় তাহলে সংঘর্ষ বাঁধবে না? তিনি বলেন, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কেমন জানি একটা স্বৈরাচারী মনোভাব চলে আসছে। কনসাসের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ঐক্যমতের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। চ্যাপ্টার ক্লোজড। আপনার চিন্তাভাবনা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন না। আপনি ক্ষমতায় আসেন, এরপর আপনি পরিবর্তন করুন। 

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে। কিন্তু কীভাবে বাস্তবায়ন হবে এটি স্বাক্ষরিত হয়নি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যখন সরকারের কাছে সুপারিশ করল তখন বিরোধ তৈরি হলো। তিনি বলেন, গণভোটের বিষয়ে আমরা বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। তারা বলেছেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না। আমরা যে কোনো সময় আলোচনায় বসতে রাজি। প্রয়োজনে অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসতে উদ্বুদ্ধ করব। ডেমোক্রেসিতে আলোচনা এবং রাজপথে ভয়েস রেইস করা, এই দুটিই চলে। আমরা তো ভায়োলেন্স করছি না।

জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের বিরোধিতা করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, জাতীয় নির্বাচনে মানুষের ফোকাস থাকে দল, প্রার্থীকেন্দ্রিক। আমাদের দেশে ভোটকেন্দ্র দখল হয়। দুটো ভোট দিতে গেলে টাইম ম্যানেজমেন্ট হবে না, ভোট কাস্টিং কম হবে। পরে আবার বলবে জনগণ জুলাই চার্টারের পক্ষে রায় দেয় নাই। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী আমলের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এখনো আছে। এখন জনগণের আস্থা নেই। আগে গণভোট হলে জাতীয় নির্বাচনে জনগণের আস্থা তৈরি হবে। এতে নির্বাচনটা ভালো হবে। 

এর আগের দিন শুক্রবার জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, সময়ক্ষেপণ করে লাভ নাই। গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই হতে হবে। যতই চালাকি করে সময় নষ্ট করা হোক না কেন, আগে গণভোট তারপর জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। নতুবা জনগণ আবার রাজপথে নেমে আসবে। সংকট সৃষ্টি না করে নভেম্বরের মধ্যে গণভোট সম্পন্ন করে জুলাই সনদের আলোকে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।  

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক গতকাল বলেছেন, দেশে বর্তমান যে রাজনৈতিক বিরোধ চলছে, তা মাঠের কর্মসূচির মাধ্যমে সমাধান সম্ভব নয়। এ সংকটের সমাধান আলোচনার মাধ্যমেই হতে হবে। মাঠ দখল করে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমরা এখনো বুকে হাত দিয়ে বলতে পারছি না- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। এর আগের দিন সাইফুল হক বলেন, জবরদস্তি বা চাপ প্রয়োগ করে মতপার্থক্য দূর করা সম্ভব নয়। যেখানে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোটে অংশ নিতে মত দিয়েছেন, সেখানে সরকারেরও এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

তিনি আরো বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের অদূরদর্শীতার কারণে রাজনীতিতে অনাকাঙ্খিত উত্তেজনা ও বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের প্রজ্ঞার অভাবে এ বিভেদ আরো বেড়েছে এবং সরকার নিজেদের দায় এড়িয়ে অপ্রয়োজনীয়ভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে বল ছুড়ে দিয়েছে।  

গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী জুলাই সনদ নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে বলেন, সরকার বলেছে, দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের জানান। জনগণ কি আপনার বাপের চাকর নাকি? আপনি নির্দেশনা দেয়া শুরু করে দিয়েছেন? আমরা জানাব না। প্রফেসর ইউনূস- আপনি যেভাবে দেশের রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন, যেভাবে লোক ভাড়া করে নিয়ে এসে আমাদের ঐক্যের পরিবর্তে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন তার জন্য আপনাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এক বিবৃতিতে বলেছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রণীত জুলাই সনদ সই পরবর্তী ড. ইউনূসের সরকার নির্বাচন ও গণভোটের সময় নিয়ে বির্তক সৃষ্টি করে জাতিকে আরো গভীর সংকট এবং হতাশায় নিমজ্জিত করেছে এবং প্রস্তাবিত ফেব্রুয়ারি ২০২৬ মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অনিশ্চিত করে তুলেছে। এক বছরের অধিক সময় ধরে ৬০ শতাংশ ভোটারের সমর্থিত দলগুলোকে বাদ দিয়ে কথিত একটি ঐকমত্যের যে কাগজ তৈরি করা হয়েছে, তা প্রতারণাপূর্ণ ও চাতুরতায় ভরা বলে ঐকমত্যের দলিলে সই করা অনেক দল ঐকমত্য কমিশনকে দায়ী করছে।

গণতন্ত্র মঞ্চ বলেছে, সরকার নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার মানসিকতা থেকে সরে এসে আলোচনার ভিত্তিতে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সনদ বাস্তবায়নের পথ তৈরি না করলে গণতান্ত্রিক রূপান্তর বাধাগ্রস্ত হবে। সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে সরকারের সক্রিয় ভূমিকা দাবি করেছে মঞ্চ।  

টাইমলাইন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

‘জিএসএমএ অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছে গ্রামীণফোনের চলচ্চিত্র ‘কাগজের কলম’

‘জিএসএমএ অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছে গ্রামীণফোনের চলচ্চিত্র ‘কাগজের কলম’

ব্র্যাক ব্যাংকের বিরুদ্ধে লিঙ্গবৈষম্যের অভিযোগ: চাকরি হারালেন তৃতীয় লিঙ্গের কর্মী

ব্র্যাক ব্যাংকের বিরুদ্ধে লিঙ্গবৈষম্যের অভিযোগ: চাকরি হারালেন তৃতীয় লিঙ্গের কর্মী

‘দ্য ফ্লো ফেস্ট ঢাকা’: অব্যবস্থাপনায় দর্শনার্থীদের চরম ভোগান্তি

‘দ্য ফ্লো ফেস্ট ঢাকা’: অব্যবস্থাপনায় দর্শনার্থীদের চরম ভোগান্তি

জুলাই পুনর্জাগরণ জাতীয় বিতর্ক উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠিত

জুলাই পুনর্জাগরণ জাতীয় বিতর্ক উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠিত

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App