ডক্টরাট ডিগ্রি অর্জন করলেন সাবেক ছাত্রনেতা সাহাবুদ্দিন লাল্টু
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫২ পিএম
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাহাবুদ্দিন লাল্টু। ছবি : ভোরের কাগজ
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাহাবুদ্দিন লাল্টু ডক্টরাট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের লিবার্টি ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি ‘ডক্টর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিবিএ)’ ডিগ্রি লাভ করেন।
ডক্টরাট ডিগ্রি অর্জনের বিষয়টি সাহাবুদ্দিন লাল্টু নিজেই ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে আজই হয়ে গেলাম ডক্টর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।’
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সময় ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ শুরু হওয়ার ঠিক পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডক্টর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিগ্রি প্রদান করে। এ দিনটিকে তিনি তার জীবনের একটি অত্যন্ত স্মরণীয় দিন হিসেবে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি যারা তার জন্য দোয়া করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বর্তমানে কানাডায় প্রবাস জীবন যাপন করছেন। প্রবাসে থেকেও গত এক যুগে এবং বিশেষ করে জুলাই-আগস্টের উত্তাল রাজনৈতিক সময়ে তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সক্রিয় ও সাহসী ভূমিকার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসীরা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অবদান রাখতে সক্ষম হন বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
৫ আগস্টের পর অনেক রাজনৈতিক নেতা দেশে ফিরে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হলেও সাহাবুদ্দিন লাল্টু দেশে ফেরেননি। শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি গতানুগতিক ক্ষমতার রাজনীতিতে না গিয়ে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কথা জানান।
তবে দেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি নিয়মিতভাবে নিজের মতামত ও ‘তেতো সত্য’ প্রকাশ করে যাচ্ছেন। এ কারণে অনেকের বিরাগভাজন হলেও দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে তিনি আপসহীন অবস্থান বজায় রেখেছেন বলে জানান ঘনিষ্ঠজনেরা।
সাহাবুদ্দিন লাল্টু মনে করেন, রাজনীতিতে সফল হতে হলে পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। সে বিশ্বাস থেকেই তিনি এখনও নিজের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। ডক্টরাট ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে।
রাজনীতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে সাহাবুদ্দিন লাল্টুর অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা ভবিষ্যতে দেশের স্বার্থে আরো বৃহৎ পরিসরে কাজে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তার শুভানুধ্যায়ীরা।
