লিবিয়া উপকূলে ২৬ বাংলাদেশিকে নিয়ে নৌকাডুবি, ৪ জনের মৃত্যু
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৩ এএম
ছবি : সংগৃহীত
উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার আল-খোমস উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী দুটি নৌকা ডুবে গেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি ২৬ জনকে নিয়ে যাওয়া প্রথম নৌকাডুবিতে চার বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় নৌকাটিতে থাকা সুদানিসহ ৬৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১৬ নভেম্বর) টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে আল-খোমস উপকূলে দুটি নৌকা উল্টে যাওয়ার খবর পেয়ে উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রথম নৌকাটিতে ছিলেন ২৬ জন বাংলাদেশি; তাদের মধ্যে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দ্বিতীয় নৌকাটিতে ছিলেন ৬৯ জন অভিবাসী। এর মধ্যে দুজন মিসরীয় এবং ৬৭ জন সুদানি, যাদের মধ্যে আটজন শিশু। এই ঘটনায় কেউ নিহত বা নিখোঁজ হননি।
উদ্ধারকারী দল জানায়, জীবিত সকলকে তীরে এনে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং মৃতদের মরদেহ উদ্ধার করে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার অন্যতম ঝুকিপূর্ণ ও ব্যবহৃত রুট হিসেবে লিবিয়া বহুদিন ধরেই পরিচিত। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটি ইউরোপগামী অভিবাসীদের প্রধান ট্রানজিট পয়েন্টে পরিণত হয়। বর্তমানে লিবিয়ায় সাড়ে ৮ লাখেরও বেশি অভিবাসী অবস্থান করছে।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, লিবিয়ায় অভিবাসীরা নিয়মিতভাবে নির্যাতন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন। যদিও অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে সহায়তা দিয়েছে, সেই কোস্টগার্ডের সঙ্গে মিলিশিয়া গোষ্ঠীর যোগাযোগ ও নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে, ইউরোপীয় দেশগুলো নিজেদের রাষ্ট্রীয় উদ্ধার অভিযান কমিয়ে দেওয়ায় সমুদ্রপথ আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি দাতব্য সংস্থাগুলোও বহু বাধা ও দমননীতির সম্মুখীন হচ্ছে, যা অভিবাসীদের দুর্দশা আরো বাড়াচ্ছে।
