বাংলাদেশে প্রবেশের পর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পাবেন তারেক রহমান
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি : সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অসুস্থতার মধ্যেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর গুঞ্জন চলছে।
যদিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত তাঁর ‘একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়’। এ অবস্থায় তাঁর দেশে না ফেরার কারণ হিসেবে নিরাপত্তা উদ্বেগের কথাও বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, তারেক রহমান দেশে ফিরলে তাঁর জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তিনি বাংলাদেশে প্রবেশের পর বিমানবন্দর থেকেই স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সুরক্ষাও পেতে পারেন। এই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত যথাসময়ে জানানো হবে। সাধারণত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা সমমর্যাদার ব্যক্তিরা এসএসএফের নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। সম্প্রতি খালেদা জিয়াকেও ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করে এসএসএফ নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, তারেক রহমানকে ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। তিনি দেশে ফিরলে তাঁকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন : খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যোগ দিলেন ব্রিটিশ চিকিৎসক
সূত্রগুলো আরো জানায়, দেশে ফেরার আলোচনা থাকলেও ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারেক রহমান কোনো আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নেননি। বুধবার খালেদা জিয়ার বেশ কয়েকটি মেডিকেল টেস্ট করা হচ্ছে। এসব টেস্টের ফলাফল সন্তোষজনক না হলে তাঁকে বিদেশে নেওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনা করা হবে। সেই সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করবে তারেক রহমানের দেশে ফেরা। পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে ডিসেম্বরের ১১ তারিখের মধ্যেই তিনি দেশে ফিরতে পারেন বলে সূত্রের তথ্য।
এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই তারেক রহমান দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি আশা করেন, পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে খুব শিগগিরই তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন।
গত ২৯ নভেম্বর ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান লিখেছিলেন, দেশে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। তাঁর এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠে—কী কারণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফিরছেন না? যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির ইঙ্গিত দেওয়া হলেও সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি।
অন্যদিকে, মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদেশি পাসপোর্ট নবায়ন করেননি লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান। দেশে ফিরতে হলে তাঁকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট, অন্য দেশের পাসপোর্ট বা ট্রাভেল পাস ব্যবহার করতে হবে। সরকার আগেই জানিয়েছে, তিনি চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাভেল পাস দেওয়া হবে। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, তারেক রহমান এখনো ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেননি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, বাংলাদেশে কারো নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা নেই। তারেক রহমানের নিরাপত্তা ইস্যুতে তিনি বলেন, যদি তাঁর বিশেষ নিরাপত্তার প্রয়োজন হয়, মন্ত্রণালয় সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।
