এক মাস আগে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়: পুলিশ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন (২৫)-এর হত্যার পরিকল্পনা এক মাস আগে করা হয়েছিল , এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ড মূলত একটি প্রেম-ত্রিভুজ থেকে উদ্ভূত। জোবায়েদ ও বর্ষার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, কিন্তু বর্ষার সঙ্গে আগে থেকেই ছিল মাহির রহমানের (১৯) প্রেমের সম্পর্ক। মাহিরের সঙ্গে বর্ষার দেড় বছরের সম্পর্ক ছিল বলে পুলিশের তথ্য।
হত্যাকাণ্ডের দিন বিকেল চারটায় জোবায়েদ পড়াতে আসবেন এই তথ্য মাহিরকে জানায় বর্ষা। এরপর মাহির তার বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০)-কে সঙ্গে নিয়ে বাসার নিচের গলিতে অবস্থান নেয়। জোবায়েদ বাসার নিচে পৌঁছালে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মাহির তাকে চাকু দিয়ে আঘাত করে। যার কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু বরণ করেন জোবায়েদ।
আরো পড়ুন : যৌন হয়রানি বন্ধে আদালতের নির্দেশনা ঝুলছে ১৬ বছর ধরে
পুলিশ জানায়, জোবায়েদ প্রাণ বাঁচাতে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টা করেন এবং কয়েকটি দরজায় নক করেন, কিন্তু কেউ সাহায্য করেননি। তৃতীয় তলায় এসে বর্ষার কাছে সাহায্য চান, কিন্তু তিনি সহায়তা করেননি।
ঘটনার পর জোবায়েদের ভাই বংশাল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে- মাহির রহমান, বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৮) এবং ফারদীন আহমেদ আয়লান।
এক প্রশ্নের উত্তরে এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, মাহিরের মা তাকে থানায় দিয়েছেন—এটি পুলিশের পরিকল্পিত কৌশল নয়, আসামি স্বতঃস্ফূর্তভাবে হস্তান্তরিত হয়েছেন।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের মুহাম্মদ তালেবুর রহমান, লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি এবং অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. আমিনুল কবীর তরফদার।