×

ইউরোপ

ইউক্রেন ও ফ্রান্সের ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি সই

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩১ এএম

ইউক্রেন ও ফ্রান্সের ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি সই

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ। ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়ার তীব্র হামলা প্রতিরোধে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা জোরদার করতে ফ্রান্সের কাছ থেকে ১০০টি রাফাল এফ–৪ যুদ্ধবিমান ও উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাচ্ছে ইউক্রেন। একটি বড় প্রতিরক্ষা চুক্তির আওতায় এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

প্যারিসের নিকটবর্তী একটি বিমান ঘাঁটিতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁর সঙ্গে সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এটিকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩৫ সালের মধ্যে সব রাফাল এফ-৪ বিমান সরবরাহ সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া চলতি বছর থেকেই শুরু হচ্ছে ইন্টারসেপ্টর ড্রোনের যৌথ উৎপাদন। যদিও চুক্তির আর্থিক কাঠামো এখনো চূড়ান্ত হয়নি, ফ্রান্স ইইউর অর্থায়ন এবং জব্দ করা রাশিয়ান সম্পদ ব্যবহারের সম্ভাবনা বিবেচনা করছে—যা বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

জেলেনস্কি যৌথ ব্রিফিংয়ে জানান, ইউক্রেন খুব শক্তিশালী ফরাসি রাডার, আটটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং আরো নানা উন্নত অস্ত্র পাবে। তার মতে, এসব উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জীবন রক্ষা করবে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে, যার বেশিরভাগই জ্বালানি ও রেল অবকাঠামো লক্ষ্য করে—ফলে দেশজুড়ে বিস্তৃত ব্ল্যাকআউট দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ হামলায় উত্তর-পূর্বের বালাক্লিয়া শহরে তিনজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হওয়ার খবর দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কিয়েভ এসব হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলে আখ্যা দিয়েছে।

ম্যাক্রঁ বলেন, আমরা ১০০টি রাফালের পরিকল্পনা করছি—এটি বিশাল। ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর পুনর্জাগরণের জন্য এটাই প্রয়োজন। তিনি আরো জানান, ইউক্রেনকে ভবিষ্যতের যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত করাই তাদের লক্ষ্য।

ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক সের্হি কুজান বলেন, রাশিয়া প্রতি মাসে ছয় হাজার গ্লাইড বোমা ব্যবহার করছে; তাই ২০০ কিলোমিটার পাল্লার ফরাসি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তবে আরইউএসআই–এর বিশ্লেষক জাস্টিন ব্রঙ্ক মনে করেন, এটি মূলত দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক চুক্তি, যার বাস্তব প্রভাব নির্ভর করবে সরবরাহের সময়সীমা এবং ক্ষেপণাস্ত্রসহ কতটুকু সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তার ওপর।

রাফাল ক্রয়ের প্রধান জটিলতা অর্থায়নকে ঘিরে। ফ্রান্স নিজস্ব বাজেট পুনর্বিবেচনা করছে এবং ইইউর যৌথ ঋণ প্রক্রিয়ার দিকেও তাকাচ্ছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক দেশে জব্দ করা রাশিয়ান সম্পদ ব্যবহারের বৈধতা এবং ভবিষ্যৎ পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।

বর্তমানে ইউক্রেন ফ্রান্সের মিরাজ, যুক্তরাষ্ট্রের এফ–১৬ এবং সম্ভাব্য সুইডিশ গ্রিপেন যুদ্ধবিমান ব্যবহারের পরিকল্পনায় রয়েছে। ফ্রান্স সফর শেষে জেলেনস্কি আরও সামরিক ও মানবিক সহায়তা চাইতে স্পেন ভ্রমণ করবেন।

এরই মধ্যে গ্রিসের সঙ্গে একটি গ্যাস চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে, যার মাধ্যমে মার্কিন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বলকান অঞ্চলের পাইপলাইন হয়ে এ শীতেই ইউক্রেনে পৌঁছাবে।

২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া পূর্ণ মাত্রায় ইউক্রেনে আক্রমণে নামে। বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড রুশ নিয়ন্ত্রণে, এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পরও রুশ বাহিনী ধীরে ধীরে ফ্রন্টলাইনে এগিয়ে যাচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে ফেসবুক পোস্ট, ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার আটক

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে ফেসবুক পোস্ট, ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার আটক

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের প্রস্তাবে জাতিসংঘের সমর্থন

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের প্রস্তাবে জাতিসংঘের সমর্থন

শীতে আদা-চায়ের উপকারিতা

শীতে আদা-চায়ের উপকারিতা

ইউক্রেন ও ফ্রান্সের ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি সই

ইউক্রেন ও ফ্রান্সের ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি সই

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App