প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি
শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের রায়ের তারিখ নির্ধারণ
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ আসামির রায় ঘোষণা করার দিন আগামী ২৭ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। রোববার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এক আসামির যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন।
অপর ১১ আসামি পলাতক থাকায় তাদের পক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়নি। ফলে তারা আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করতে পারেননি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে গত ১৪ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
শেখ হাসিনার সঙ্গে মামলার অপর আসামিরা হলেন, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, রাজউক-এর সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউক-এর সাবেক সদস্য শফি উল হক, খুরশীদ আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব শহিদ উল্লাহ খন্দকার এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
আরো পড়ুন : গুমের মামলায় শেখ হাসিনার হয়ে লড়বেন জেডআই খান পান্না
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ছয়টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় শেখ হাসিনা, তার সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরো অনেকে আসামি করা হয়। এক মামলায় ১৭ জন, অন্য মামলায় ১৮ জন এবং আরো একটি মামলায় ১৮ জনকে আসামি করা হয়।
গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অপর তিন মামলায় বিশেষ জজ-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম অভিযোগ গঠন করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং অযোগ্য হলেও পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে সরকারি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন।
