×

জাতীয়

সংসদ নির্বাচন ও গণভোট: নির্বাচন কমিশনের ৫ চ্যালেঞ্জ

Icon

হরলাল রায় সাগর

প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪২ পিএম

সংসদ নির্বাচন ও গণভোট: নির্বাচন কমিশনের ৫ চ্যালেঞ্জ

ছবি : সংগৃহীত

নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্যে আয়োজন চলছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের। সরকার ও রাজনৈতিক দলসহ দেশি-বিদেশি সব পক্ষের চাওয়া অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। কিন্তু এই নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তত পাঁচটি বড় চ্যালেঞ্জ দেখছে নির্বাচন কমিশন-ইসি। দেশের একটি প্রধান দল কার্যক্রম স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, একইদিনে গণভোটসহ দুই ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের পোস্টাল ভোট নিতে পূর্বঅভিজ্ঞতা না থাকা, মাঠ প্রশাসন ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতার মাধ্যমে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ইস্যু নির্বাচনী সংস্থাটির।

এছাড়া গণভোটের বিষয়ে প্রচার-প্রচারণাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে সরকারের ‘নতজানু’ না হয়ে ‘শক্ত’ অবস্থানে নিরপেক্ষ থেকে আস্থার জায়গা তৈরি করার যে তাগিদ এসেছে তা নিশ্চিৎ করাও নির্বাচন কমিশনের বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সব প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ‘ধীর ও স্থির’ নীতিতে ইসি এগোচ্ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন শীর্ষ কর্তারা। 

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও ইসি জাতিকে সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে প্রস্তুত। কমিশন ‘স্লো অ্যান্ড স্টেডি’ নীতি অনুসরণ করে এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে এই বিশাল কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। ভোটারদের ওপর রাজনৈতিক দলের নেতাদের সরাসরি প্রভাব থাকায় তাদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দলগুলো নিজেদের প্রভাব ব্যবহার করে ভোটারদের সচেতন, কেন্দ্রমুখী করা এবং তাদের নিরাপত্তায় সাহায্য করবে। এতে একটি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত হবে। 

সিইসি বলেন, ইসি প্রবাসী, সরকারি কর্মকর্তা ও কারাগারে থাকা ব্যক্তিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। প্রবাসীদের ভোটের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে ‘হাইব্রিড মডেল’। যেখানে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ও ডাকযোগে ভোট প্রদান হবে। তিনি আরো বলেন, ইসি ন্যায়নীতি, আইন ও বিধি বিষয়ে কোনো আপসে যাবে না। নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে কমিশন অটল থাকবে। এজন্য রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ভোটারদের সহযোগিতা প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে আয়োজন করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। এ লক্ষ্যে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। ইতোমধ্যে নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করলেও তা আবার পরিবর্তন করা হতে পারে। কারণ গণভোটের আদেশ, সংসদ নির্বাচনের জন্য পৌনে ১৩ কোটি ভোটার ও প্রায় ১০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার বিবেচনায় রাখা হয়েছে। ৪৩ হাজার ভোটকেন্দ্রে প্রায় দুই লাখ ৪৫ হাজার ভোটকক্ষ থাকবে। ৯ থেকে ১০ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাত থেকে আট লাখ সদস্য নিয়োজিত থাকবে ভোটে। কিন্তু সরকারের হয়ে ভোটে দায়িত্বরত নির্বাচনী কর্মকর্তা, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের অনেকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ পুরনো। এই অভিযোগ থেকে বেরিয়ে প্রশ্নহীন নির্বাচন উপহার দেয়া অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ।   

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সরকারের পতনের পর রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ হয়। বর্তমানে মাঠে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগ বিরোধ হওয়ায় রাজনীতি এক ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে। দলটি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সরকার ও ইসির তরফে। 

নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, দেশে এখন পর্যন্ত নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ৫৫টি। জাতীয় পার্টিসহ বাকি দলগুলোকে সংলাপে ডাকা হয়নি। আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দেয়া এই দলগুলো নির্বাচন অংশ নিতে পারবে না বলে বর্তমানে প্রভাবশালী দলগুলো থেকে দাবি তোলা হয়েছে। যদিও জাতীয় পার্টিসহ দলগুলোর নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছে ইসি। এছাড়া বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে টানাপড়েন চলছে। রাজনৈতিক ময়দানও চরম অস্থিতিশীল। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা রয়েছে।

এদিকে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর মাঠে পুলিশ ছিল না। আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে। শুরু হয় মব ভায়োলেন্স (উশৃঙ্খল জনতার সন্ত্রাস)। এখন কমলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। বেড়েছে খুনখারাবি। বেড়েছে অজ্ঞাত খুনও। ঢাকা মহানগর পুলিশের হিসাবে, রাজধানীতে গত এক বছরে গড়ে প্রতি মাসে ২০জন হত্যার শিকার হয়েছে। এরই মধ্যে ভোটের হাওয়া শুরু হওয়ায় বাড়ছে নির্বাচনী সহিংসতাও। ফলে নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা সামাল দেয়া নির্বাচন কমিশনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

ইসি নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) ঘোষণা করেছে গত ২৮ আগস্ট। এই রোডম্যাপের আলোকে ভোটের দিকে এগিয়েছে সংস্থাটি। মাঝখানে গণভোটের সিদ্ধান্ত আসে। গত ১৩ নভেম্বর জাতীয় জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের আদেশ জারি করেছে সরকার। ফলে এখন রোডম্যাপে পরিবর্তন আনতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এখনো এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়নি। এ কারণে নির্বাচন কমিশনও চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। এই অধ্যাদেশের অপেক্ষায় রয়েছে ইসি। ফলে সময় স্বল্পতার কারণে ইসির কাছে বিষয়টি জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ১৯ নভেম্বর বলেন, গণভোট পরিচালনার জন্য একটি স্পষ্ট আইন প্রণয়ন জরুরি। আইন হলে তখন আমাদের একটা দায়বদ্ধতা আসবে। আইন ছাড়া গণভোটের পদ্ধতি, ব্যালট, ব্যালট বাক্স বা যাবতীয় কাঠামো নিয়ে সিদ্ধান্ত দেয়া সম্ভব নয়।

নির্বাচন ঘিরে ৪৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, শিক্ষক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গেও সংলাপ করেছে সংস্থাটি। এসব সংলাপে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং তা নিশ্চিত করতে নিরপেক্ষ মাঠ প্রশাসন ও নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগের তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি ভোটারেদের নিরাপত্তা, ভোটের নিরাপদ পরিবেশ তৈরি ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের মতামত দেন তারা। সর্বশেষ ১৯ নভেম্বর ইসির সঙ্গে সংলাপে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতসহ ১৩ রাজনৈতিক দল সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের কাছে ‘নতজানু’ না হয়ে ‘শক্ত’ অবস্থান নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ থাকার আহŸান জানানো হয়। এ সময় নির্বাচনী কর্মকর্তা (রিটার্নিং অফিসার, অ্যাসিস্টেন্ট রিটার্নিং অফিসার) নির্বাচন কমিশন থেকে নিয়োগের প্রস্তাব দেয়া হয়। তফসিল ঘোষণার পর লটারির মাধ্যমে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে নিরপেক্ষ থেকে ইসিকে আস্থার জায়গা তৈরি করার পরামর্শ দেন নেতারা। বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি দাবি করে আসছে- নির্বাচন কমিশনসহ প্রশাসনে এখনো আওয়ামী লীগ আর্দশের কর্মকর্তারা বহাল রয়েছেন। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন ভণ্ডুল করারও অভিযোগ আনা হয়। এজন্য তাদরেকে সরিয়ে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়ার দাবি জানায় দলগুলো। এসব দাবি-পরামর্শ আমলে নিয়ে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ভোট অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা কামনা করেছে ইসি।

এবার প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের ব্যবস্থা করছে নির্বাচন কমিশন। তারা পছন্দের প্রার্থীকে ডাকযোগে ভোট (পোস্টাল ভোট) দিতে পারবেন। এই পোস্টাল ভোটিং একটি জটিল প্রক্রিয়া। এ বিষয়ে বাংলাদেশে কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে ইসি বলছে এটি চ্যালেঞ্জিং হলেও অসম্ভব নয়। এক্ষেত্রে যেসব প্রবাসী ভোট দিতে আগ্রহী তাদরেকে মোবাইল ফোন অ্যাপের (পোস্টাল ভোট বিডি) মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোটের আগেই নিবন্ধন করতে হবে। এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, যা চলবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নিবন্ধনের পর রিটার্নিং কর্মকর্তা আলাদা ভোটার তালিকা প্রস্তুত করবেন। নিবন্ধনের সময় দেয়া ঠিকানায় পাঠানো হবে ব্যালট পেপার ও ফিরতি খাম। প্রার্থিতা চ‚ড়ান্ত হওয়ার পর ভোটার অ্যাপে প্রার্থীর প্রতীক দেখে ভোট দেবেন। ব্যালটে নাম নয়, থাকবে কেবল প্রতীক। ভোট দেয়া ব্যালট ফিরতি খামে পোস্ট অফিস বা পোস্টবক্সে জমা দিলেই তা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৌঁছাবে। সব পোস্টাল ভোট সরকারি কোষাগারে সংরক্ষিত থাকবে এবং ভোটের দিন গণনা করা হবে।

নির্বাচন কমিশন জানায়, ১৪৩টি দেশে থাকা প্রায় ৫০ লাখ প্রবাসী ভোটারকে লক্ষ্য করে প্রাথমিকভাবে ২০ লাখ ব্যালট পেপার ছাপানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে প্রয়োজন হলে এ সংখ্যা বাড়ানো হবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ব্যাপক পরিসরে প্রবাসীদের ডাকযোগে ভোটদানের সুযোগ নিশ্চিত হচ্ছে। 

সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, প্রবাসীদের ভোটের ব্যবস্থার বিষয়টি অত্যন্ত জটিল বিষয় বলে অতীতে কেউ এখানে হাত দেয়নি। তবে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এটি শুরু করতে যাচ্ছে ইসি। এই প্রক্রিয়ায় ভোট জটিল হলেও অসম্ভব নয়। 

ইসি জানায়, ভোটগ্রহণের দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থেকে শুরু করে প্রিসাইডিং অফিসারসহ প্রায় ১০ লাখ লোক বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। তাদের মধ্যে যারা ভোটের দিনে নিজেদের কেন্দ্রে ভোট দিতে পারেন না, তাদের জন্য এবার ভোট দেয়ার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি চাকরিজীবী এবং কারাগারে থাকা বন্দিদের জন্যও ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে অনেক বিষয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে ইসিকে। গণভোটে ভোটকেন্দ্র ও জনবল বেশি লাগবে; সরঞ্জাম বাড়াতে হবে; ব্যালট বক্স ও ব্যালট আলাদা হবে। তবে গণভোটে বড় চ্যালেঞ্জ প্রচার-প্রচারণা। কারণ নতুন প্রজন্মের জন্য এটি নতুন ধারণা। জাতীয় জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোটের এই গণভোটে যাচ্ছে সরকার ৩৪ বছর পর। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রচার চালাতে হবে। তবে এই প্রচারের ক্ষেত্রে সরকারকেই বেশি উদ্যোগী হতে হবে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা।

জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীরা নিজ নিজ দলের ও প্রতীকে জনসংযোগ করেন। ফলে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার আবহ তৈরি হয়। তবে গণভোট নিয়ে প্রার্থীদের তেমন কোনো স্বার্থ থাকে না। তাই এ দায়িত্ব সরকারকে নিজের কাঁধে তুলে নিতে হয়। ফলে গণভোট কতটুকু সাড়া ফেলতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। 

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, একই দিনে দুটি নির্বাচন করছে সরকার। দলগুলো দুই রকমের ক্যাম্পেইন করবে- গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ প্রচারণা। এছাড়া স্বল্প সময়ে ভোটকেন্দ্র বাড়ানো, ব্যালট প্রস্তুত, লোকবল বাড়ানোর বিষয় তো আছেই। গণনার জন্য আলাদা লোক লাগবে। সিল ও ব্যালট পেপার দ্বিগুণ লাগবে। বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং কিন্তু অসম্ভব নয়।

টাইমলাইন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

ডেঙ্গুতে একদিনে ৮ মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৭৮

ডেঙ্গুতে একদিনে ৮ মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৭৮

আইরিশদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

আইরিশদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

সুষ্ঠু নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস সেনাপ্রধানের

সুষ্ঠু নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস সেনাপ্রধানের

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা নেই

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা নেই

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App