×

মধ্যপ্রাচ্য

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত, নিহত আরো ৮১

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩২ এএম

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত, নিহত আরো ৮১

দুটি অস্থায়ী ত্রাণশিবিরেও হামলা চালানো হয়। ছবি : সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান ও ড্রোন হামলায় আরো ৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী, শিশু ও একাধিক পরিবারের সদস্য রয়েছে। একাধিক এলাকায় চালানো হামলায় আহত হয়েছেন আরো অনেক মানুষ।

রোববার (৬ জুলাই) দিনভর চলা হামলায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। খবর বার্তাসংস্থা আনাদোলুর।

বার্তাসংস্থা আনাদোলু ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজার শেখ রাদওয়ান ও আল-নাসর এলাকায় দুটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান বোমা বর্ষণ করে। সেখানে বাস্তুচ্যুত বহু পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল। এতে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অধিকাংশ বাসিন্দা ঘুমিয়ে ছিলেন, যাদের অনেকেই ছিলেন নারী ও শিশু। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো বহু মানুষ আটকে রয়েছেন।

আরো পড়ুন : গাজায় সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ গেল ৭শ’র বেশি ফিলিস্তিনির

গাজার দক্ষিণে ওয়াদি গাজা এলাকার একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে ৪ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হন। নুসেইরাত শরণার্থী শিবির ও গাজা শহরে আলাদা হামলায় আরো ৬ জন নিহত হন।

উত্তর গাজার আল-সাফতাওয়ি এলাকায় এক বেসামরিক গাড়িতে ড্রোন হামলায় তিন ভাই নিহত হন। একইদিনে শেখ রাদওয়ানে একটি আশ্রয়কেন্দ্রের তাঁবুতে ড্রোন হামলায় মারা যান আরো ৩ জন।

গাজার পশ্চিমাঞ্চলের শাতি শরণার্থী শিবিরে একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া মানুষের ওপর চালানো বিমান হামলায় অন্তত ৭ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।

খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকার দুটি অস্থায়ী ত্রাণশিবিরেও হামলা চালানো হয়। এতে ১০ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে এক গর্ভবতী নারী ও কয়েকজন শিশু রয়েছেন।

আল-আলবানী মসজিদের কাছে অপর একটি ড্রোন হামলায় চারটি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, যাদের তিনজনই শিশু বলে জানিয়েছে স্থানীয় চিকিৎসাকর্মীরা।

আল-তুফাহ ও আল-দারাজ এলাকার আবাসিক ভবনগুলোতেও বোমা হামলায় অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি পরিবারে ৮ সদস্য এক ড্রোন হামলায় নিহত হন। অন্য আরেক হামলায় প্রাণ হারান আরো ৩ জন।

আল-আউদা ও আল-শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মরদেহগুলো খণ্ডবিখণ্ড ও অঙ্গহানিকৃত অবস্থায় এসেছে, এবং আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আল জাজিরার প্রতিবেদকদের বরাতে বলা হয়েছে, এসব হামলার অনেকগুলোই ত্রাণের আশায় লাইনে দাঁড়ানো মানুষের ওপর চালানো হয়েছে। খাদ্য, পানি ও ওষুধের চরম সংকটে থাকা গাজার মানুষ ত্রাণ পাওয়ার আশায় জড়ো হচ্ছিলেন, তখনই এসব হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

যদিও আন্তর্জাতিক মহল যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে, তবুও ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৪০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। পরিস্থিতি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে ২০২৪ সালের নভেম্বরেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চলমান রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

নির্বাচনের মাধ্যমেই সঠিক পথে দেশ এগিয়ে যাবে: ফখরুল

নির্বাচনের মাধ্যমেই সঠিক পথে দেশ এগিয়ে যাবে: ফখরুল

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ বৃহস্পতিবার

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ বৃহস্পতিবার

এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা

এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা

অবৈধ অস্ত্র মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রিমান্ডে

অবৈধ অস্ত্র মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App