গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের প্রস্তাবে জাতিসংঘের সমর্থন
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১০ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত হয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য দেশের মধ্যে ১৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। কোনও দেশই বিরোধিতা না করলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত থাকে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবিত পরিকল্পনাটি গাজায় একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স–আইএসএফ) গঠনের কথা বলছে, যা গাজায় নিরাপত্তা রক্ষা ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করবে। যুক্তরাষ্ট্র জানায়, একাধিক দেশ ইতোমধ্যে বাহিনীতে সদস্য পাঠাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যদিও দেশগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি।
খসড়া প্রস্তাবে আইএসএফ-এর প্রধান দায়িত্ব হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে হামাসসহ “অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা”, বেসামরিক মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং মানবিক সহায়তার রুট নিরাপদ রাখা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আইএসএফ ইসরায়েল ও মিসরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে এবং গাজায় নতুন করে প্রশিক্ষিত একটি ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনী গঠনের কথাও বলা হয়েছে।
তবে গাজার শাসকদল হামাস এই প্রস্তাবকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে তারা জানায়, প্রস্তাবটি ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার প্রতিফলিত করে না এবং গাজার ওপর “আন্তর্জাতিক অভিভাবকত্ব চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা” করা হচ্ছে, যা জনগণ ও প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো কোনোভাবেই মেনে নেবে না। তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাহিনীকে গাজায় দায়িত্ব দেওয়া হলে তা নিরপেক্ষতা হারাবে।
হামাসের অভিযোগ, প্রস্তাবের ভাষা মূলত গাজাকে নিরস্ত্রীকরণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা রাজনৈতিক সমাধানের পথে বাধা সৃষ্টি করবে। পরিকল্পনায় উল্লেখ আছে, ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব অনুযায়ী হামাসকে অস্ত্র জমা দিতে হবে।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ বলেন, আইএসএফ-এর লক্ষ্য হবে “গাজাকে সুরক্ষিত রাখা, সামরিকীকরণমুক্ত করা, সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করা, অস্ত্র অপসারণ এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।”
গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে রাশিয়া ও চীন প্রস্তাবগুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেও এবার বিরোধিতা না করে ভোটদানে বিরত থাকে। ফলে নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাব অনায়াসেই পাস হয়েছে।
