বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ধারাবাহিক সংস্কার হাতে নেয়া হয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ ধারাবাহিক সংস্কার হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিকের বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত পার্ক সুদানের আবেই শহরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ঘাঁটিতে সাম্প্রতিক ড্রোন হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য তার শুভেচ্ছা জানান এবং আশা প্রকাশ করেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে।
উভয় পক্ষ বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে বাংলাদেশে বৃহত্তর কোরিয়ার বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা, একটি পরিকল্পিত ব্যাপক অর্থনৈতিক চুক্তির স্থিতি, মানবসম্পদে বিনিয়োগ এবং দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস রাষ্ট্রদূত পার্ককে তার মেয়াদ সফলভাবে শেষ করায় অভিনন্দন জানান এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর করার জন্য তার অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চট্টগ্রামে কোরিয়ান রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল সম্পর্কিত দীর্ঘদিনের একটি সমস্যার সমাধান করেছে উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন— এটি দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে আকৃষ্ট করবে।
জবাবে রাষ্ট্রদূত পার্ক বলেন, কোরিয়ার ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট স্যামসাং এখন বাংলাদেশে মোবাইল ফোন উৎপাদন বাড়ানোসহ বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণে আগ্রহী।
তিনি আরও বলেন, দুই দেশ ফেব্রুয়ারিতে একটি পরিকল্পিত কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট নিয়ে নতুন দফা আলোচনার আশা করছে, যা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতি দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারে বাংলাদেশি পণ্য বিশেষ করে তৈরি পোশাকের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের পথ প্রশস্ত করবে।
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া থেকে রফতানির আধিপত্য বিস্তারকারী দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্তমানে বাংলাদেশের পোশাক আমদানির পাঁচ শতাংশেরও কম।
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দুই দেশের পণ্য কোরিয়ায় শুল্কমুক্ত বাজার প্রবেশাধিকার ভোগ করে।
দুই দেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও মানুষে মানুষে সম্পর্কের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশি তরুণদের দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে আরও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বিশেষ করে ভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বিবেচনা করার পরামর্শ দেন।
এসময় এসডিজি সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।
