প্রতীক পছন্দের শেষ দিন আজ, শাপলা প্রতীকে অনড় এনসিপি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫১ এএম

শাপলাতে প্রতীকেই অনড় এনসিপি। ছবি : সংগৃহীত
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালেও প্রতীক নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে টানাপোড়েন ক্রমেই বাড়ছে। গত কয়েক মাস ধরেই এ নিয়ে চলছে চিঠি আদান-প্রদান, সাক্ষাৎ ও বৈঠক। তবে দুপক্ষই এখনো নিজেদের অবস্থানে অনড়।
গত জুনে নিবন্ধনের আবেদন করার সময় এনসিপি তিনটি প্রতীক প্রস্তাব করেছিল- শাপলা, কলম ও মোবাইল ফোন। পরে দলটি কলম ও মোবাইল ফোন থেকে সরে এসে কেবল শাপলাকেই চূড়ান্তভাবে বেছে নেয়।
তবে রাজনৈতিক দলের জন্য প্রণীত ইসির প্রতীক তালিকায় “শাপলা” না থাকায় আবেদনটি বারবারই নাকচ করছে কমিশন। সর্বশেষ ৭ অক্টোবর এনসিপি আবারও শাপলা প্রতীক চেয়ে সাতটি নমুনাচিত্রসহ আবেদন পাঠায়, কিন্তু ইসি সেটি আমলে নেয়নি। কমিশনের পাল্টা চিঠিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বিধিমালার তালিকায় থাকা প্রতীকগুলোর মধ্য থেকেই এনসিপিকে একটি বেছে নিতে হবে। অন্যথায় রোববারের মধ্যে জবাব না পেলে কমিশন নিজ বিবেচনায় প্রতীক নির্ধারণ করবে।
আরো পড়ুন : জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার কারণ জানাল এনসিপি
১৪ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। রোববারের মধ্যে তালিকাভুক্ত প্রতীক বেছে নিতে হবে; তা না হলে কমিশন নিজ সিদ্ধান্তে প্রতীক বরাদ্দ করবে।
অন্যদিকে, ইসির অবস্থানের কড়া সমালোচনা করেছেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, কোনো আইনি ব্যাখ্যা না দিয়েই আমাদের ওপর প্রতীক চাপিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কমিশন। এটি স্বেচ্ছাচারী আচরণ। কমিশন কোনো পক্ষের প্রভাবে আছে কি না, সেটি এখন যাচাই করার সময় এসেছে।
শাপলার বাইরে বিকল্প ভাবতে নারাজ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, শাপলার বেশ কয়েকটি নমুনা আমরা পাঠিয়েছি। আমরা শাপলাকেই প্রতীক হিসেবে চাই। অন্য কোনো প্রতীক চাপিয়ে দিলে তা আমরা গ্রহণ করব না। প্রয়োজনে আইনগত পদক্ষেপও নেব।
উল্লেখ্য, এর আগে মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্যও শাপলা প্রতীক চেয়েছিল, তবে তাদের আবেদনও বর্তমান নির্বাচন কমিশন খারিজ করে দেয়। এ প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, নাগরিক ঐক্য শাপলা প্রতীকের জন্য তেমনভাবে লড়েনি। তারা অন্য প্রতীকে সন্তুষ্ট থেকেছে। কিন্তু আমরা শাপলাকে নিয়েই শেষ পর্যন্ত লড়ব, সেটি কমিশনের বিবেচনায় আনার সময় এসেছে।