মোদি সরকারের কাছে চিরকৃতজ্ঞ, বললেন জয়
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:১২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের করা প্রত্যর্পণ অনুরোধ ভারত গ্রহণ করবে বলে তিনি মনে করেন না। কারণ, তিনি বলেন, “মায়ের জীবন রক্ষায়” ভারত সবসময়ই বন্ধুসুলভ ভূমিকা রেখেছে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া থেকে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, ভারত সবসময়ই ভালো বন্ধু। এই সংকটের সময় ভারত মূলত আমার মায়ের জীবন বাঁচিয়েছে। তিনি যদি বাংলাদেশ না ছাড়তেন, তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা। তাই প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকারের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।
এএনআইয়ের কাছে দেওয়া তার মন্তব্যের ভিডিও প্রকাশ করেছে রয়টার্স।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। আন্দোলন দমন করতে হত্যার নির্দেশ, উসকানি ও সহযোগিতার অভিযোগে তাকে পলাতক দেখিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার হয়।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উক্ত আন্দোলনে প্রায় ১,৪০০ মানুষ নিহত হয়ে থাকতে পারে।
গত ১৭ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। রায়ের পর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, ভারতকে আবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যর্পণ অনুরোধ পাঠানো হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানায় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই ব্যক্তিকে ফিরিয়ে দিতে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তিদের আশ্রয় দেওয়া হবে অবন্ধুসুলভ আচরণ এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞা। দুই দেশের প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী ভারতকে অবশ্যই তাদের হস্তান্তর করতে হবে।
ভারত সরকার জানায়, তারা রায় সম্পর্কে অবগত এবং নিকট প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে সব অংশীজনের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করবে। সরাসরি প্রত্যর্পণ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেনি দিল্লি।
জয় বলেন, আমি মনে করি ভারত জানে এই অনুরোধ কীভাবে সামলাতে হয়। আমি বিশ্বাস করি না ভারত সরকার এ ধরনের বেআইনি অনুরোধে সাড়া দেবে। ভারতের গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ওপর আমার আস্থা আছে।
তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের ন্যায্য সুযোগ দেওয়া হয়নি, তবে ২০২৪ সালের আন্দোলন মোকাবিলায় তার সরকারের ‘কিছু ভুল’ ছিল।
“হ্যাঁ, বিক্ষোভের শুরুতে ভুল ব্যবস্থাপনা ছিল। আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠে, আর সরকার সহিংসতা থামানোর চেষ্টা করে। তবে এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও ছিল। এখন দেখুন, একটি অনির্বাচিত সরকার দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আছে। সবই হয়েছে অগণতান্ত্রিকভাবে।
