×

টেলিকম

বিটিসিএলের এসটিএন প্রকল্পে সিদ্ধান্ত আজ, তদন্তে উঠে এসেছে অনিয়মের একাধিক অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৫ এএম

বিটিসিএলের এসটিএন প্রকল্পে সিদ্ধান্ত আজ, তদন্তে উঠে এসেছে অনিয়মের একাধিক অভিযোগ

বিটিসিএল লোগো

বিটিসিএলের ডিজিটাল কানেক্টিভিটি শক্তিশালীকরণে সুইচিং ও ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক এসটিএন প্রকল্পে দীর্ঘদিনের জট আজ মঙ্গলবার খুলতে পারে। কয়েক ধাপের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় প্রকল্পটি বারবার স্থগিত হয় এবং বিষয়টি শেষ পর্যন্ত পরিচালনা পরিষদের হাতে আসে। বিশেষ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন আজ পরিচালনা পরিষদের সভায় উপস্থাপিত হবে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় ২০২৩ সালে বাংলালিংকের আইএসবিসি প্ল্যাটফর্মে প্রযুক্তি ও সেবা সরবরাহের দায়িত্ব পায় জিনিউ টেকনোলজিস। প্রতিষ্ঠানটি শুরুতেই অনুপোযুক্ত সরঞ্জাম পাঠায় এবং সংশোধন কার্যক্রমে প্রকল্পটি ছয় মাসের বেশি বিলম্বিত হয়। পরবর্তীতে বাণিজ্যিকভাবে চালুর পরও প্রয়োজনীয় পরিমাণ কল হ্যান্ডলিং করতে ব্যর্থ হয় তাদের প্রযুক্তি। এর ফলে বাংলালিংক অপারেশনাল ব্যবস্থাপনায় গুরুতর চাপে পড়ে এবং আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় বারো কোটির বেশি। দেশের নেটওয়ার্ক বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা একই ধরনের অভিজ্ঞতা এসটিএন প্রকল্পেও ঘটতে পারে কারণ বিটিসিএলের সাম্প্রতিক আইসিএক্স টেন্ডারেও অংশ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি যা তাদের সক্ষমতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

দরপত্র অনুযায়ী পঞ্চাশ হাজার এসআইপি ট্রাঙ্ক সক্ষমতার যন্ত্রপাতি সরবরাহের দাবি করলেও জিনিউ টেকনোলজিস প্রযুক্তিগত সক্ষমতার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয় যা ম্যাটেরিয়াল ডিভিশনের মানদণ্ড অনুযায়ী সরাসরি টেন্ডার বাতিলের যোগ্য কারণ। তিন সদস্যবিশিষ্ট প্রথম যাচাই কমিটি দরপত্র বাতিল করে পুনরায় টেন্ডার আহবানের পাশাপাশি জিনিউয়ের বিরুদ্ধে পিপিএ এবং পিপিআর অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে। সুপারিশ অনুযায়ী দরপত্র বাতিল হয় এবং প্রকল্প পরিচালক ২৯ জুলাই নতুন করে দরপত্র আহবান করেন।

এমন পরিস্থিতিতে প্রকল্প পরিচালক তৌফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগে বলা হয় তিনি জিনিউকে সুবিধা দিতে আইসিএক্সের ন্যূনতম সক্ষমতা পঞ্চাশ হাজার থেকে কমিয়ে বত্রিশ হাজার পাঁচশত করার প্রস্তাব দেন এবং ১৪ আগস্ট সংশ্লিষ্ট সংশোধনী প্রকাশ করেন। পরবর্তী ধাপে নতুন দরপত্র জমা নেওয়া হয় ২৮ আগস্ট। এরপর অল্প সময়ের মধ্যেই মূল্যায়ন কমিটিকে প্রভাবিত করে তথ্য গোপন করে জিনিউয়ের অনুকূলে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো প্রথম দরপত্রে পঞ্চাশ হাজার সিপিই ট্রাঙ্ক চাওয়া হয়েছিল এবং নতুন দরপত্রে বত্রিশ হাজার পাঁচশত সিপিই ট্রাঙ্ক চাওয়া হলেও আগের তুলনায় জিনিউয়ের প্রস্তাবিত যন্ত্রাংশের মূল্য ছিল আরও বেশি।

১১ সেপ্টেম্বর বিষয়টি পরিচালনা পরিষদের সভায় উঠলে পরিষদ পুনরায় সন্দেহ প্রকাশ করে এবং আবার নতুন তিন সদস্যবিশিষ্ট যাচাই কমিটি গঠন করে যার আহ্বায়ক হন মিজানুর রহমান। একই সঙ্গে প্রকল্প পরিচালকের কাছ থেকে লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয় এবং আরো একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই দ্বিতীয় কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনই আজ পরিচালনা পরিষদের সামনে উপস্থাপিত হবে।

তদন্ত কমিটির সদস্য বুয়েটের অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ ফয়সাল জানান তারা সব নথি বিশ্লেষণ করে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন এবং প্রতিবেদনেই তার প্রতিফলন রয়েছে। তিনি এ বিষয়ে অতিরিক্ত মন্তব্য করতে চান না।

আরো পড়ুন- বিটিসিএল এসটিএন প্রকল্প: কারচুপির পরও পিডির কল্যাণে কাজ পাচ্ছে জিনিউ

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সহিংসতার শিকার ৮ শতাংশ নারী

সাইবার সহিংসতা সহিংসতার শিকার ৮ শতাংশ নারী

‘ভঙ্গুর’ প্রতিশ্রুতির কারখানা

কপ৩০ ‘ভঙ্গুর’ প্রতিশ্রুতির কারখানা

সমঝোতার জন্য দর কষাকষিতে দলগুলো

জাতীয় নির্বাচন সমঝোতার জন্য দর কষাকষিতে দলগুলো

পাকিস্তানের বোমা হামলায় আফগানিস্তানে নিহত ১০

পাকিস্তানের বোমা হামলায় আফগানিস্তানে নিহত ১০

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App